বিরোধী নেতাকর্মীদের গণগ্রেপ্তার ও সাধারণ পরিবেশে নিয়ে ফের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ব্রিফিংয়ে সংস্থাটির মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক এ উদ্বেগের কথা জানান।
ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের স্থায়ী সংবাদদাতা মুশফিকুল ফজল আনসারী ডুজারিককে প্রশ্ন করেন, ‘বাংলাদেশের সরকার সহিংসতা বন্ধে মহাসচিবের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছে এবং অতিরিক্ত শক্তিপ্রয়োগ করছে। ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, জাতিসঙ্ঘ অকেজো এবং কিছু ভালো কথা বলা ছাড়া পৃথিবীতে তাদের অন্য কোনো ভূমিকা নেই। এছাড়া বিরোধী দলগুলোর আট হাজার নেতাকর্মীকে পুলিশের হেফাজতে নেয়া ও বিভিন্ন স্থানে পুলিশের হাতে নিহত ব্যক্তিদের বিষয়ে আপনাদের অবস্থান কি?’
এমন প্রশ্নের জবাবে জাতিসঙ্ঘ মহাসচিবের মুখপাত্র বলেন, ‘আসলে জাতিসঙ্ঘের সমালোচনা নতুন নয় এবং বিভিন্ন সময়ে এটা হয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থা প্রসঙ্গে গত সপ্তাহে আমি যা বলেছি সেটির পুনরাবৃত্তি করতে চাই, সেখানকার গণগ্রেফতার ও সাধারণ পরিবেশ নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন।’
এর আগে আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে জাতিসঙ্ঘ বাংলাদেশে নির্বিচারে গ্রেফতার, হয়রানি ও সহিংসতা দেখতে চায় না বলে জানিয়েছিল সংস্থাটি। এছাড়া বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন বলেও চলতি নভেম্বরের শুরুতে জানিয়ে দেয় জাতিসঙ্ঘ।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, বাংলাদেশে নির্বাচনী পরিবেশ রয়েছে কি না, তা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে তারা। একইসাথে বাংলাদেশের যেকোনো সহিংসতার ঘটনাকে গুরুত্বসহ দেখে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশটি। সোমবার (৬ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত এই ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রিন্সিপাল ডেপুটি স্পোকসপারসন বেদান্ত প্যাটেল এ তথ্য জানান।
বেদান্ত প্যাটেল বলেন, এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। এই মুহূর্তে আমাদের মনোযোগ হচ্ছে- আগামী জানুয়ারির নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে নির্বাচনী পরিবেশ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করা।
এছাড়া বাংলাদেশী জনগণের সুবিধার জন্য একসাথে কাজ করার আহ্বান জানাতে বাংলাদেশের সরকারের পাশাপাশি বিরোধী দলের নেতাদের সাথে, সুশীল সমাজ এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথেও যথাযথভাবে সম্পৃক্ত থাকার কাজ অব্যাহত রয়েছে।