দীর্ঘদিনের দুরবস্থায় থাকা দেশের পাঁচটি ব্যাংক একীভূত করে গঠিত ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’ কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে চূড়ান্ত অনুমোদনের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু করেছে। একই সঙ্গে সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়াকে সরকারি সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকটির চেয়ারম্যান করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিবার (৩০ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সভায় ব্যাংকটির চূড়ান্ত লাইসেন্স অনুমোদন করা হয়। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই নতুন ব্যাংকটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, ব্যাংকিং খাতে সুশাসন, জবাবদিহিতা ও শৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া সংস্কার কর্মসূচির অংশ হিসেবে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, এক্সিম ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংককে ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ ২০২৫–এর আওতায় আনা হয়। পরবর্তী সময়ে এসব ব্যাংককে অকার্যকর ঘোষণা করে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বারবার তারল্য সহায়তা দেওয়ার পরও এসব ব্যাংকের আর্থিক অবস্থা উন্নতি হয়নি, বরং শেয়ারবাজারে তাদের শেয়ারের দাম ব্যাপকভাবে কমে গেছে এবং প্রায় সব ব্যাংকের নেট অ্যাসেট ভ্যালু (এনএভি) এখন ঋণাত্মক। এই নাজুক পরিস্থিতিতেই একত্রীকরণের মাধ্যমে নতুন ব্যাংক গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ৯ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সংকটাপন্ন ইসলামী ব্যাংককে একীভূত করে নতুন রাষ্ট্র-মালিকানাধীন একটি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর ৯ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) ইস্যু করে। এলওআই–এর শর্ত অনুযায়ী রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ অ্যান্ড ফার্মসে নিবন্ধনের পাশাপাশি ব্যাংকটির ৩৫ হাজার কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধনের মধ্যে ২০ হাজার কোটি টাকা সরকারি অংশ ইতোমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে।

