মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারীর বাবা আলহাজ আব্দুল মোছাউয়ীর আনসারীর জানাজা বৃহস্পতিবার বাদ আসর সম্পন্ন হয়েছে। সিলেটের ঐতিহ্যবাহী শাহী ঈদগাহ ময়দানে জানাজা শেষে তাকে নগরের মানিকপীর কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মী-সহ বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ নেন।
জানাজা অনুষ্ঠানে বাবার স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য দেন রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী। তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের রোষানলে পড়ে আমার মতো বাবা ৯ বছর যুক্তরাজ্যে নির্বাসিত জীবন পার করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ হলেও দেশে ফিরতে পারেননি। তার পরম ইচ্ছা ছিল ফ্যাসিবাদের পতন হবে এবং তিনি দেশে ফিরবেন। তিন মাস আগে দেশে ফিরেছেন। আজ মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে কবুল করেছেন। আপনারা আমার বাবার জন্য দোয়া করবেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শাহী ঈদগাহের উপমুতাওয়াল্লি বদরুজ্জামান সেলিম। জানাজার নামাজে ইমামতি করেন মরহুমের ছোট ছেলে ইসলামিক স্কলার আবু সাঈদ আনসারী।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. এএম সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী, রেজিস্ট্রার সৈয়দ সেলিম মোহাম্মদ আব্দুল কাদির, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, সিলেট মহানগর সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, সাধারণ সম্পাদক এমদাদ আহমদ চৌধুরী, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির ফখরুল ইসলাম, সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. রেজাউল করিমসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ জানাজায় অংশ নেন।
আব্দুল মোছাউয়ীর আনসারী গতকাল সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচে) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। সিলেটের শাহী ঈদগায় ময়দানে লাশ বহনকারী হেলিকপ্টার এসে পৌঁছে বেলা ৩টায়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। তিনি তিন ছেলে, তিন মেয়ে-সহ বহু আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সিলেটের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া মরহুম আব্দুল মোছাউয়ীর আনসারী বাল্যকালে সৌদি আরবে প্রাইমারি শিক্ষা সম্পন্ন করেন। পরবর্তীকালে তিনি বোম্বেতে উচ্চ শিক্ষা লাভ করেন। বাসস