মামলায় খালাস পেলেন আল্লামা মামুনুল হক

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে কথিত ধর্ষণের মামলায় খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে খালাস দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেসমিন আরা বেগম। আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, মাওলানা হকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে তাকে নির্দোষ সাব্যস্ত করা হয়েছে।

২০২১ সালের এপ্রিলে রয়্যাল রিসোর্টের একটি ঘটনায় এ মামলা হয়। বিচার শেষে আসামিদের পক্ষে রায় দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আল্লামা মামুনুল হক আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের ভারপ্রাপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. রোমেল মোল্লা বলেন, মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। যার কারণে আদালত তাকে নির্দোষ ঘোষণা করে বেখসুর খালাস প্রদান করেছেন। গত ৩ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছিলেন আজ। এই মামলায় ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট একেএম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, মামলার ধার্য তারিখ অনুযায়ী মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে। আদালত মামুনুল হককে বেখসুর খালাস প্রদান করেছেন। গত ৩ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার যুক্তিতর্ক শেষ হয়েছিল। আমরা সেদিন আদালতকে বলেছিলাম এই পুরো বিষয়টি যোগসাজসে সংঘটিত হয়েছে। যিনি মামলার বাদী তিনি শারীরিক পরীক্ষা করাতে রাজী হননি, কারণ তিনি স্বীকার করেছেন মামুনুল হক তার বৈধ স্বামী। একইসঙ্গে বাদীর ছেলে আব্দুর রহমান সাক্ষ্য দিতে এসে বলে গিয়েছিলেন তার মা মামুনুল হকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তাদের ওপর বলপ্রয়োগ করে মামলা করানো হয়েছিল। আদালত আমাদের প্রতি ন্যায়বিচার করেছেন।

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টে অবস্থান করছিলেন মামুনুল হক। ওই সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে তাকে ঘেরাও করেন। পরে স্থানীয় হেফাজতের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা এসে রিসোর্টে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ঘটনার পর থেকেই মামুনুল হক মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় অবস্থান করে আসছিলেন। এ সময় পুলিশ তাকে নজরদারির মধ্যে রাখে। এরপর ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে এই ঘটনায় ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ মামলা করেনেএক নারী। তবে ওই নারীকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করে আসছেন আল্লঅমা মামুনুল হক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *