সেই মহারজনীর কথা ভাবি-
যা একবারই নেমেছিলো পৃথিবীর মরু-আঙিনায়
যখন ধ্যানস্ত তুমি হেরাপর্বতের আশ্চর্য গুহায়!
পৃথিবীর বাতাসেরা কেমন করে ছুঁয়ে গেলো তোমার শরীর!
আজও কি সেইসব নক্ষত্র উদয় হয়
আকাশের কোনো অতলান্ত বুকের কাছে,
যেগুলো জ্বলতো তোমার চোখের সায়রে
আমার মতন তারাও কি খোঁজে তোমার সেই মুখ
যা চাঁদের চেয়ে উজ্জ্বল
সরোবর থেকে স্বচ্ছল এবং জোছনার চেয়ে মায়াবী!
দিগন্ত বিশারী মরু-তারকার চোখ
যখন নামতো তোমার চোখে,
কাবার ওপর ঝরতো তারা-বৃষ্টির মধ্যরাত
সেই বৃষ্টিতে বিমোহিত তুমি হঠাৎ
আলোর ঝলকানির বিস্ময়ে বিভোর
আকাশ থেকে গুহার অভ্যন্তর
ভেসে যাচ্ছিলো প্রবল নূরের জোয়ারে
অকস্মাৎ বেজে উঠলো সেই মাহা সম্মানিত বিশ্বস্ত দূতের দৃঢ কণ্ঠস্বর-
“পাঠ করো তোমার রবের নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন …”
মহান আরশের কাছে মর্যাদাবান সেই ফেরেশতার আলিঙ্গনে
নড়ে উঠলো তোমার ঠোঁট, পাঠ করলে তুমি-
“ইকরা বিসমে রাব্বিকাল্লাজি খালাক”
সেই থেকে শুরু আমাদের পাঠের পালা
হৃদয় উপুড় করে পাঠ করি আজও
পাঠ করে মানবজাতির পবিত্রতমরা
পৃথিবীর সর্বশেষ বিশ্বাসীও পড়তে থাকবে-
সেই বাণী, সেই মহান রবের শ্রদ্ধেয় কালাম
পাঠ হবে পৃথিবী বিলয় অবধি!
পাঠের ললিত সুরে মহান স্রষ্টাকে
তুমিই চিনিয়েছো লোকে লোকে!
তোমাকে সালাম হে রাসুল আমার!
