ভারত থেকে ধেয়ে আসা ঢলে এখন পযর্ন্ত বাংলাদেশের ১১টি জেলায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪৫ লাখে দাড়িয়েছে। লাখ লাখ পরিবার মারাত্বকভাবে পানিবন্দী। ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতিতে নিরাপদ আশ্রয়ে ছুটে যেতে গিয়ে বহু মানুষ আহত হয়েছেন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ১৩ জনের মুত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভারত থেকে প্রবল স্রোতে নেমে আসা ঢলে হবিগঞ্জে খোয়াই নদীর শায়েস্তাগঞ্জ রেলসেতু ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় সিলেট অঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট ২০২৪) দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান। জানানো হয়, বন্যাক্রান্ত জেলাগুলো হলো—ফেনী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, সিলেট, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ। বন্যায় এখন পর্যন্ত কুমিল্লায় চারজন, কক্সবাজারে তিনজন, চট্টগ্রামে দুজন, ফেনীতে একজন, নোয়াখালীতে একজন, লক্ষ্মীপুরে একজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একজন মারা গেছেন।
কামরুল হাসান বলেন, বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, বিজিবি, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশের সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ রেলওয়ে শায়েস্তাগঞ্জের উর্ধ্বতন উপ-সহকারি প্রকৌশলী(পথ) সাইফুল্লাহ রিয়াদ স্বাক্ষরিত এক বার্তায় রেল যোগাযোগ বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়। তখন থেকে সিলেট থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে চলাচলকারী ৬টি ট্রেনেই বন্ধ আছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, শুক্রবার সকাল ৯টায় খোয়াই নদীর পানি বাল্লা পয়েন্টে ১৯১ সেন্টিমিটার, শায়েস্তাগঞ্জে ১৫৩ সেন্টিমিটার ও শহরতলীর মাছুলিয়ায় ১৬৫ সেন্টিমিটার বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ৫টি উপজেলার ২২টি ইউনিয়ন বন্যাকবলিত হয়ে ৮ হাজার ২৪০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। – ইউএনবি ও বাসস