“জায়নিস্ট শাসনের সাথে যুক্ত একটি নাশক দলের চার সদস্য, যারা মোসাদ অফিসারদের নির্দেশনায় দেশের নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক কর্মকাণ্ড করেছিল, আজ সকালে আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে,”।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) ইরানভিত্তিক বার্তাসংস্থা মিজান নিউজ ও ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইম অব ইসরায়েল এই তথ্য জানিয়েছে।
এই খবর এমন সময় এসেছে, যখন গত সোমবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে এক ইসরায়েলি বিমান হামলায় ইরানের রেভুলশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) সিনিয়র উপদেষ্টা সৈয়দ রাজি মুসাভি শহীদ হয়েছেন। তিনি ইরান ও সিরিয়ার মধ্যকার সামরিক যোগাযোগে সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনার খবরে বলা হয়, দামেস্কের উপকণ্ঠে জেইনাবিয়া জেলায় এক জায়নবাদী হামলায় সৈয়দ রাজি মুসাভি নিহত হয়েছেন। এক পৃথক বিবৃতিতে রাষ্ট্রীয় টিভিতে আইআরজিসি জানায়, এই অপরাধের জন্য জায়নবাদী সরকারকে মূল্য দিতে হবে।
গাজায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের সাথে ইসরাইলের যুদ্ধ বৃহত্তর আঞ্চলিক সঙ্ঘাতে রূপ নিতে পারে- এমন আশঙ্কায় এই হামলা বলে মনে করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই দক্ষিণ লেবাননে ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর সাথেও ইসরায়েলের লড়াই চলছে।
আল জাজিরার সংবাদদাতা আলি হাশেম দক্ষিণ লেবানন থেকে বলেন, সিরিয়া এবং লেবাননে আইআরজিসির কমান্ডাদের মধ্যে মুসাভি ছিলেন সবচেয়ে প্রাচীন। তিনি সেই ১৯৮০-এর দশক থেকে এই এলাকায় কাজ করছেন।
হাশেম বলেন, ইরান থেকে সিরিয়া এবং ইরাক থেকে সিরিয়ায় অস্ত্র যোগান এবং সেগুলো লেবাননে হিজবুল্লাহর কাছে পৌঁছে দেয়ার কাজটি তিনিই করতেন বলে ইসরায়েল অভিযুক্ত করে আসছিল। ইরানের ভাষায়ও তিনি ছিলেন খুবই প্রভাবশালী।