সুপ্রিম কোর্টে পিটিআই’র জয়, শেষ মামলায়ও খালাস পেলেন ইমরান দম্পতি

সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রধান ইমরান খান একটি মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন। অপর মামলায় তার দল পিটিআই দলীয় মর্যাদা ফিরে পেয়েছে। সেই সাথে ২৩টি সংরক্ষিত আসনের অধিকারী হবার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। রাজনৈতিক ভাষ্যকার মজিদ নিজামি আদালতের সিদ্ধান্তকে “স্বস্তি এবং আশার আলো’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

ইসলামাবাদের জেলা ও সেশন কোর্টের একজন বিচারপতি শনিবার ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির বিরুদ্ধে ইদ্দত মামলায় দেয়া অভিযোগ তুলে নেন, যে মামলার কারণে তিনি জেলে আছেন। এটা ছিল সর্বশেষ মামলঅ। বাকি মামলাগুলোতে ইমরান খান আগেই জামিন অথবা খালাস পেয়েছেন।

অনলাইন ডনের খবরে বলা হয়, শনিবারের এই রায়ের পর ইমরান খানকে জেলে আটকে রাখার আর কোনো মামলা অবশিষ্ট নেই। মামলার রায়ে বিচারক আফজাল মাজোকা বলেন, যদি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আর কোনো মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা না থাকে তাহলে অবিলম্বে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ও বুশরা বিবিকে মুক্তি দেয়া উচিত। তাদের মুক্তির আদেশ ইস্যু করা হয়েছে। এর আগে তোষাখানা ও সাইফার বা কূটনৈতিক বার্তা বিষয়ক মামলায় তিনি বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

জাতীয় নির্বাচনের কয়েকদিন আগে গত ৩রা ফেব্রুয়ারি ইমরান দম্পতিকে ইদ্দত মামলায় অভিযুক্ত করা হয়। বুশরা বিবির সাবেক স্বামী খাওয়ার ফরিদ মানেকার মামলায় তাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। ফরিদ মানেকার অভিযোগ করেন, বুশরা বিবির ইদ্দতের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই ইমরান খানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছে। এ মামলার শুনানিতে সিনিয়র সিভিল জজ কুদরাতুল্লাহ সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরাকে সাত বছর করে জেল এবং পাঁচ লাখ রুপি করে জরিমানা করা হয়েছিল।

এদিকে গত সাধারণ নির্বাচনে ইমরান খানের দলীয় প্রতীক কেড়ে নেয়া হলে পিটিআই প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেও বেশ সাফল্য অর্জন করেন। তখন নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাসীন জোটকে ৭০টি সংরক্ষিত আসন (৬০টি নারী এবং ১০টি সংখ্যালঘুদের) দেয় এবং পিটিআইকে বঞ্চিত করে। তারপরও পিটিআই থেকে নির্বাচিতরা সুন্নি ইত্তেহাদ কাউন্সিলের সদস্য হিসাবে শপথ নিয়ে বিরোধী দলনেতার পদ লাভ করেন। সূত্র: ডন ও আলজাজিরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *