সুনামগঞ্জে জলমহালের মাছ লুটের হিড়িক

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়ে জাল, পলো ও লাঠিসোটা নিয়ে কয়েকটি জলমহালের কয়েক কোটি টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ছিল অসহায়। স্থানীয় সুত্র মতে, তিন উপজেলার অন্তত ১০টি জলমহালের মাছ লুট করা হয়েছে।

ভিডিও: https://youtu.be/kieUywIAMWg?si=MOxjgJpMRciy1R6I

প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের ভয়ে সাধারণ মানুষ জলমহালের নামতে ভয় পেতেন। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর হাসিনা সরকারের এমপি এবং আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতারা আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ গ্রেফতারও হয়েছেন। যারা জলমহাল থেকে নিয়মিত ফায়দা হাসিল করতেন। তাদের নিজস্ব লোকদের ইজারাদা দেয়া হয়েছিল এই সব জলমহাল।

ভাটি অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার জেলে ও সাধারণ মানুষ হাওর ও বিলের,াছ থেকে বঞ্চিত হয়ে দীর্ঘ দিন থেকে ক্ষুব্ধ ছিলেন। ক্ষমতার পরিবর্তনের পর তারা আস্তে আস্তে সংঘবদ্ধ হয়ে অরাজকতার সাথে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে।

দিরাই উপজেলার কামান-কচমা বিলে প্রথম লুটপাট শুরু হয়। এরপর থেকে প্রতিদিনই চলছে লুটপাট। শুক্রবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত কমপক্ষে ৭টি জলমহালের ব্যাপক হারে মাছ লুট করা হয়েছে। সর্বশেষ বুধবার উপজেলার মেধা বিল ও বেতরগাং জলমহাল এবং জামালগঞ্জ উপজেলার আইলা বিলে তান্ডব চালিয়েছে ক্ষুব্ধ জনতা। মাইকিং করে বিভিন্ন গ্রামের হাজার হাজার মানুষ মাছ ধরার উৎসব করেছে।

দিরাই উপজেলার বেতইর জলমহালের কুচুয়া ও সেখামপুর বিল, জামালগঞ্জ উপজেলায় আয়লা-ছাদাইয়া জলমহাল, শাল্লা উপজেলার কাশীপুর শতোয়া বিল, কিশোরগঞ্জের ইটনার জলমহাল, ধনপুর ইউনিয়নের দৈলং আফানিয়া জলমহালে মাছ লুট হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

দিরাই-শাল্লা উপজেলার শ্যামারচর, ললোয়াারচর, মাইতি, চন্দ্রপুর, ইসলামপুর, সন্তোষপুর, কার্তিকপুর, নোয়াগাঁও, চিকাডুপি, বল্লবপুর, উজানগাঁও, সোনাকানি, নিজগাঁও, মির্জাপুর, রাহুতলা, শরিফপুর, কাশীপুরসহ আশপাশের গ্রামের লোকজন দিরাই-শাল্লার কামান ও লাইরা দীঘা, সতোয়া নদী, মেদা বিল ও বেতরগাং জলমহালের মাছ লুটে নিয়েছে বলে জানা গেছে।

জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া মিডিয়াকে বলেছেন, দিরাই, শাল্লা, মধ্যনগর, জামালগঞ্জে জলমহাল লুট করার সঙ্গে ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষ জড়িত। দল বেঁধে মানুষ তাজাড়া পলো, টেঁটা, কুচ দিয়ে সংঘব্ধভাবে মাছ ধরতে আসে। আমি অনুরোধ করব, তারা যেনো এসব কাজ থেকে বিরত থাকেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *