শতকের বেদনা । আহমদ ময়েজ

ছড়া-কবিতা সময় সাহিত্য
শেয়ার করুন

{একজন প্রাণপুরুষের যে চেতনা গত এক শতক ধরে পথের ধারে বিলিন হয়েছে, এর নাম মিলোভান-জিলাস, আমার দুর্বল পঙক্তির ভেতর তোমাকে স্মরণ করি। শতকের ব্যর্থতা মানুষকেই বহন করতে হয়।}

জিলাস দাঁড়িয়ে আছেন, দণ্ডপ্রাপ্ত চোখ বড় বেশি উজ্জ্বল, বেদনায় নীল
অর্ধনমিত জনতার চোখ (তোমার সম্মানে কোনো পতাকা ছিল না)
কম্ম্যু-ধর্মবাদীরা সহাস্যে উল্লাস করে প্রীত হয়
মিলোভান-জিলাস ছড়িয়ে যান বিশ্বময়।
ভঙুর লেনিনগ্রাদ
তোমাকে বেত্রাঘাত করে একটি শতক গিলেখায়, পৈরবি-দল
নিজের ছায়াকেই শত্রুভেবে প্রতিদিন বিষবৃক্ষ রূপন করে
লাল, কেবল লালই হয়ে ওঠে প্রতীক এক
পাজরের রক্ত ঢেলে আমাদের চৌকাঠ লাল হয়
গ্রন্থগুলো লাল
লাল কৃষ্ণচূড়া
আগুনের রঙ লাল
গণগণে সূর্য … আরও কত কী
কেবল মনের ভেতর ধূসর পাণ্ডুলিপি পড়ে আছে — সে এক দীর্ঘ লাশ;
রঙের স্পর্শ নেই।
তবু জিঘাংসা মানুষের, কারা ছিল ঐ পথের উলঙ্গ দিশারী
কারা শুধু মানুষের দোহাই দিয়ে মানুষকেই অপাঠ্য করে বেশি।
(পড়শিরা বর্তে গেলে ভালো মানুষের সবক শোনায়
এমন ভালো মানুষ কোনোদিন হবো না)
আবার সেই ভাঙনের দাগ ধরে দাঁড়িয়ে আছি,
উল্কার মতো একটি ছবি ঘুরে যায়
দেখো, এক হাতে কালো রাত নগ্ন-মুদ্রায়
অন্য হাতে সূর্যের পাল।
এ নয় মলয়ের অযাচিত গোঙানি
নিজেরই পুরাণো ছাঁচে গড়ে ওঠা চিত্রালডানা।
একদিন উড়াল দেব ঐ পথে যেখানে পড়ে আছে কঙ্কালস্তুপ
নাই বা দৃশ্যমান হলো সুর ও গীতের বিতান
শতকের আবর্জনা ঘেটে তুলে নেবো ইতিহাস লাল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *