লন্ডনে আইনী সেবায় আলোকিত নাম ল’ম্যাটিক সলিসিটর্স

প্রবাসী যুক্তরাজ্য সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

সাঈদ চৌধুরী

ল’ম্যাটিক সলিসিটর্স (Lawmatic Solicitors ) একটি ব্যতিক্রমী প্রতিষ্ঠান। ইস্ট লন্ডনে আইনী সেবা সংস্থা হিসেবে দ্রুত বিকাশমান ল’ফার্ম। যেখানে রয়েছেন অনেক অভিজ্ঞ আইনজীবী। আইনী পরিষেবা প্রদানে প্রায় ২০ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আছেন বেশ কয়েকজন। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ নিয়ে বিশেষায়িত কার্যক্রম পরিচালনা করছে ল’ম্যাটিক সলিসিটর্স। এতে অভিবাসন (Immigration), পরিবার (Family), ইজারা এবং সম্পত্তি (Lease & Property), বাণিজ্যিক মামলা (Commercial Litigation), ফৌজদারি মামলা (Criminal Litigation), ব্যবসা এবং কর্পোরেট (Business and Corporate), উইল এবং প্রবেট (Wills & Probate), দাতব্য প্রতিষ্ঠানে আইনি সেবা (Legal Service to Charity)-সহ নানাবিধ আইনি সহায়তা প্রদান করা হয়।

এক সময় বাংলাদেশি ব্যারিষ্টার ও সলিসিটরদের ব্যাপারে এখানকার কমিউনিটির মানুষের আস্থার অভাব পরিলক্ষিত হত। মূলধারার সলিসিটর বা ব্যারিষ্টারের খরচ প্রদানে সক্ষম না হলেই কেবল প্রবাসী বাংলাদেশিরা এদের আইনী সহায়তা নিতেন। অবস্থা খানিকটা বদলেছে। তবে এখনো কমিউনিটির প্রায় ৮০% আইনী সেবা প্রদান করেন ব্রিটিশ বা অন্যদেশী আইনজীবী।

এ বিষয়টি গভীর ভাবে তলিয়ে দেখার জন্য ল’ম্যাটিক সলিসিটর্স ফার্মের কয়েকজন আইনজীবীর সাথে কথা বলেছি। এতে তাদের আইনী পরিষেবা ও জনগণের প্রত্যাশা-সহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং জনসম্পৃক্ত তথ্য পাওয়া গেছে। সময়’র পাঠকদের মধ্যে আইনী সহায়তা যাদের দরকার বা যারা আইনী পরিষেবা সম্পর্কে জানতে আগ্রহী, তারা উপকৃত হবেন বলে আশা করা যায়।

ব্যারিষ্টার ও সলিসিটর মোঃ আসাদুজ্জামান

ব্যারিষ্টার মোঃ আসাদুজ্জামান এই প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র পার্টনার ও প্রিন্সিপাল সলিসিটর। তিনি ইমিগ্রেশন, অ্যাসাইলাম, ফ্যামিলি, লিজ ও প্রপার্টি, এবং উইল ও প্রবেট-এ বিশেষজ্ঞ হিসেবে সেবা প্রদান করেন। যুক্তরাজ্য এবং বিদেশী বিচারব্যবস্থায় ২০ বছরের বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন আসাদুজ্জামান বাংলাদেশ জর্জ কোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে অ্যাডভোকেট হিসেবে ১৯৯৬ সাল থেকে আইন পেশায় যুক্ত। তিনি বাংলাদেশে এলএলবি (অনার্স) এবং এলএলএম করেন। তারপর যুক্তরাজ্য থেকে আবারো এলএলবি (অনার্স) এবং এলএলএম সম্পন্ন করে ২০০৬ সালে ইউকের বিখ্যাত লিংকন্স ইন থেকে বার এট ল’ সম্পন্ন করেছেন।

এক প্রশ্নের জবাবে আইনজীবী আসাদুজ্জামান জানালেন, একটা চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে কমিউনিটির মানুষের জন্য সর্বোত্তম আইনি সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ল’ম্যাটিক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আইনের সর্বোত্তম অনুশীলনের জন্য তারা কঠোর পরিশ্রম করছেন, যাতে প্রতিটি বিষয়ে গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করা যায়। নিজের টিমের সলিসিটর ও কন্সালটেন্টদের দক্ষতাকে বিরল হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশী কমিউনিটির আইনসংক্রান্ত প্রয়োজনে আমাদের আইনজীবীরা আশার আলো হিসাবে জ্বলে ওঠেন। তাদের দিকনির্দেশনা ও মামলা পরিচালনা সর্বত্র প্রশংসিত হচ্ছে।

ব্যারিষ্টার ফখরুল ইসলাম

ব্যারিষ্টার ফখরুল ইসলাম এই ফার্মের পার্টনার ও লিগ্যাল কনসালটেন্ট। তিনি ইমিগ্রেশন, অ্যাসাইলাম এবং মানবাধিকার বিষয়ে বিশেষজ্ঞ আইনজীবী। যুক্তরাজ্য এবং বিদেশে তারও ২০ বছরের অধিক আইনি অভিজ্ঞতা রয়েছে। তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে ২০০০ সাল থেকে যুক্ত এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিল সদস্য। দেশে প্রথম শ্রেণীতে এলএলবি (অনার্স) এবং প্রথম শ্রেণীতে এলএলএম করেছেন। তারপর যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে আবারো এলএলবি (অনার্স) করেন। তিনি ২০০৮ সালে সিটি ইউনিভার্সিটি থেকে বার ভোকেশনাল কোর্স (আইসিএসএল) করেছেন। একই সালে লন্ডনের বিখ্যাত মিডল টেম্পল ইন থেকে বার এট ল’ সম্পন্ন করেছেন। পরবর্তীতে তিনি ইউনিভার্সিটি অব ল’ থেকে এলপিসি এবং এলএলএম সম্পন্ন করেন।

আইনি পরামর্শদাতা এবং অংশীদার হিসেবে ল’ম্যাটিক সম্পর্কে ফখরুল ইসলাম বললেন, বিশেষজ্ঞ আইনি পরিষেবা প্রদানে তারা সংকল্পবদ্ধ। বাংলাদেশি সলিসিটর ও ব্যারিষ্টারদের ব্যাপারে এখানকার কমিউনিটির মানুষের আস্থার অভাবের কথা স্বীকার করে আইনজ্ঞ ফখরুল ইসলাম বলেন, কমিউনিটির ১০ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ ভাগ আইনী সেবা প্রদান করছেন ব্রিটিশ বাংলাদেশী আইনজীবীগণ। এখানে অধিকাংশ ল’ফার্ম ব্যক্তিকেন্দ্রিক। বাংলা কমিউনিটির অনেকের ব্যবসা বা পেশা কর্পোরেট স্তরে পৌছে গেছে। অথচ কমিউনিটিতে এখনো কর্পোরেট ল’ফার্ম গড়ে উঠেনি। এ ক্ষেত্রে ল’ম্যাটিক সলিসিটর্স একটি পেশাদার ও কর্পোরেট ল’ফার্ম হিসেবে স্বচ্ছতা ও আন্তরিকতার সাথে আইনী সেবা প্রদানে সংকল্পবদ্ধ।

ব্যারিষ্টার সাঈদ হাসান

ল’ম্যাটিক সলিসিটর্সের আরেক পার্টনার ও লিগ্যাল কনসালটেন্ট সাঈদ হাসানের ইমিগ্রেশন, অ্যাসাইলাম, পরিবার এবং সম্পত্তি আইনে বিস্তর অভিজ্ঞতা রয়েছে। চমৎকার সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা এবং গবেষণা দক্ষতার অধিকারী সাঈদ হাসানও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট। তিনি ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে এলএলবি (অনার্স) করেছেন। তারপর ২০০৪ সালে ইউকে থেকে এলএলবি (অনার্স), ২০০৬ সালে লন্ডন সিটি ইউনিভার্সিটিতে পিজিডিল এবং ইউকে ইনস অফ কোর্ট স্কুল অফ ল থেকে বার ভোকেশনাল কোর্স করেছেন।

আইনজীবী সাঈদ হাসান বললেন, মানুষের আস্থা সৃষ্টির মত মান সম্পন্ন সার্ভিস প্রদানের মাধ্যমে ল’ম্যাটিক এখন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে পরিনত হয়েছে। এই দাবির পক্ষে বিভিন্ন বিষয়ে পেশাদার আইনি পরামর্শ প্রদানের উদাহরণ-সহ নানাবিধ পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। তিনি অটল বিশ্বাসের সাথে বলেন, আমাদের আইনজীবীগণ ইউকে অভিবাসন বিধিমালার অসুবিধাগুলি বোঝেন। আমরা একটি মানবিক পদ্ধতি অবলম্বন করি। প্রতিটি ক্লায়েন্টের জন্য ব্যাপক সহায়তা প্রদানে আমরা প্রুতশ্রুতিবদ্ধ। মানুষের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আমরা কাজ করি। অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধা-বঞ্চিত মানুষদের আইনী সেবা প্রদানে বিশেষ ছাড় দেয়া হয়। এছাড়া আমরা চাই কোর্টে না গিয়ে বাইরে মামলা নিস্পত্তি (Out of Court Settlement) করতে, যাতে করে ক্লায়েন্টের টাকা এবং সময় বিনষ্ট না হয়।

ব্যারিষ্টার ও সলিসিটর সালাহ উদ্দিন (সুমন)

ব্যারিষ্টার সালাহ উদ্দিন (সুমন) ল’ম্যাটিকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা অংশীদার ও সলিসিটর। তিনি বাংলাদেশ থেকে গণিতে বিএসসি ও এমএসসি এবং ইউকের বিপিপি ইউনিভার্সিটি থেকে প্রফেশনাল স্কিল কোর্স (পিএসসি), লন্ডন মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি থেকে প্রশংসা সহ আইনি অনুশীলন কোর্স (এলপিসি), লন্ডন সাউথ ব্যাংক ইউনিভার্সিটি থেকে প্রশংসার সাথে পিজিডি ইন ল’ এবং ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েলস থেকে প্রশংসার সাথে মাস্টার অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এমবিএ) করেছেন।

সালাহ উদ্দিন (সুমন) কাস্টমার সার্ভিসের জন্য যে প্রশিক্ষণের প্রয়োজন সে ব্যবস্থা না থাকায় ব্রিটিশ বাংলাদেশী ল’ ফার্ম সমূহ প্রত্যাশিত সফলতা পাচ্ছেনা বলে মনে করেন। ল’ম্যাটিক ইমিগ্রেশন, ফ্যামিলি, প্রোপার্টি, কমার্শিয়াল লিটিগেশন, লিগ্যাল সার্ভিস টু চ্যারিটি ইত্যাদি বিষয়ে কোয়ালিটি সার্ভিস প্রদানের জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা রেখেছে বলে তিনি জানান। এখানে সংযুক্ত আইনজীবীদের দুই/তিন মাসে সিপিডি প্রশিক্ষণ হয়। এর মধ্য দিয়ে ক্লায়েন্টের চাহিদা ও আইনের যথাযথ প্রয়োগ সম্ভব হয়।

আইনজীবী সালাহ উদ্দিন (সুমন) জানালেন, তারা আইনী রিসোর্স সমূহ Lexis Nexis এবং Free Movement Software নিয়িমিত ব্যবহার করেন। এই সফটওয়্যারের গ্রাহক হিসেবে এখানে কর্মরত সকল আইনজীবী এটি ব্যবহার করেন বলে তারা আইনী লড়াইয়ে আপডেট থাকেন। ফলে তাদের ক্লায়েন্টরা সাধারণত বিজয়ী হন।

ব্যারিষ্টার হামিদ আজাদ

আন্তর্জাতিক সেবা সংস্থায় এক সময়কার নির্বাহী প্রধান ব্যারিষ্টার হামিদ আজাদ ল’ম্যাটিক সলিসিটর্সে লিড চ্যারিটি কনসালটেন্ট। তিনি এসেক্স ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলবি (অনার্স) এবং ইউনিভার্সিটি অফ দ্য ওয়েস্ট অফ ইংল্যান্ড থেকে বার ভোকেশনাল কোর্স (বিভিসি) করেছেন এবং বৃটেনের বিখ্যাত অনারেবল সোসাইটি অব লিংকন্স ইন থেকে বার এট ল’ ডিগ্রী সম্পন্ন করেন। জনাব হামিদ আজাদ দাতব্য, পরিবার, এডিআর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কৌশলগত পরিকল্পনা প্রনয়ন ও ব্যবস্থাপনা, নেতৃত্ব গঠন ও নেতৃত্বের মান উন্নয়ন, পারিবারিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক সংকট ও ভূলবুঝাবুঝি নিরসনে বিশেষজ্ঞ।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিস্তৃত ভ্রমণ থেকে তিনি অর্জন করেছেন উন্নতর বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি। বিভিন্ন পরিবেশে সেবা ও সহযোগিতা বৃদ্ধিতে তার রয়েছে ব্যাপক অভিজ্ঞতা। সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনা, প্রোগ্রাম ডেভলাপমেন্ট, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার দক্ষতা উন্নয়ন এবং বিরোধ নিষ্পত্তিতে মধ্যস্থতার জন্য তিনি বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন। তিনি চ্যারিটি আইনের পাশাপাশি পারিবারিক এবং কোম্পানি ও কর্পোরেট সেক্টরেও আইনী সহায়তা দিয়ে থাকেন।

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে কমিউনিটি এবং চ্যারিটি কাজে যুক্ত ব্যারিষ্টার হামিদ আজাদ জানালেন, দাতব্য সংস্থার কার্যক্রম ব্যাপক ও বিস্তৃত। সেবাদানের আইনি সংজ্ঞা বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম। দেশ-বিদেশের নিয়মকানুন, সামাজিক ও পারিপার্শিক অবস্থা, আর্থিক সমৃদ্ধি, কর ব্যবস্থা, চ্যারিটি পরিচালনা ও নিয়ন্ত্রন এবং মানি লন্ডারিং ইত্যাদি আইন চ্যারিটি অর্গানাইজেশনের উপর কতটা বর্তায় তা ভালভাবে জেনে ও মেনে নিয়েই কাজ করতে হয়। স্বচ্ছতার সাথে কার্যকর সেবাদানের সুনামের ওপর নির্ভর করে সেবা সংস্থা বা চ্যারিটি সমূহের আর্থিক স্থিতিশীলতা, অগ্রগতি এবং টেকসই সামাজিক উন্নয়ন। সাংগঠনিকভাবে একটি চ্যারিটি সংগঠন কতটা স্বচ্ছ, দক্ষ এবং টেকসই তা প্রমাণের মাধ্যমে জনমানুষের সমর্থন ও অনুদান পেতে হয়।

জনাব আজাদ দক্ষ সংগঠক ও আইনজীবী হিসেবে আমাদের কমিউনিটি ভিত্তিকি চ্যারিটি সংস্থা সমূহের বিভিন্ন ধরণের জটিলতা বিশ্লেষণ করে বলেন, এসব চ্যারিটি সংস্থায় নানা রকম সাংগঠনিক ও আইনগত সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় একটি সুন্দর উদ্যোগ যথাযথ কাঠামো ও কার্যকর নীতি এবং কর্মকৌশল অবলম্বনের ক্ষেত্রে দূর্বলতা নিয়ে শুরু করার কারনে অল্পতে বিনষ্ট হয়ে যায় এবং সংশ্লিষ্ট ট্রাষ্টি ও সেবাকর্মীবৃন্ধ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হন।

এসব ক্ষেত্রে ল’মেটিকের আইনি সহায়তার পরিধি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “আমরা বিশেষ অভিজ্ঞতার আলোকে আইনী সহায়তা দিয়ে থাকি। চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানের আকার এবং প্রকার নির্বিশেষে তাদের কার্যক্রমের সমস্ত দিকগুলিতে সাহায্য করতে পারি। এর মধ্যে রয়েছে চ্যারিটি সংস্থা সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠা, নিবন্ধন এবং অন্তর্ভুক্তি, গুরুতর ঘটনার ব্যপারে চ্যারিটি কমিশনের জন্য রিপোর্ট তৈরী, চ্যারিটি ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা সংশ্লিষ্ট সংকট ব্যবস্থাপনা, ট্রাস্টিদের মধ্যে বিরোধ নিষ্পত্তি, ট্রাস্টি এবং নির্বাহী-সহ চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানের জন্য নীতি এবং পদ্ধতি প্রনয়ণ এবং উন্নয়ন, চ্যারিটি ও কোম্পানির গভর্নেন্স পর্যালোচনা। এ ছাড়াও চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা সাজানো, অসংগঠিত সংস্থার পুনর্গঠন, প্রশিক্ষণ এবং উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে ট্রাস্টি এবং নির্বাহীদের সক্ষমতা বৃদ্ধি, নেতৃত্বের ট্রেইনিং, চ্যারিটি নিয়ন্ত্রণ এবং তদন্ত, তহবিল সংগ্রহ ও বৃদ্ধি-সহ ব্যবস্থাপনার পরামর্শ, কৌশলগত পরিকল্পনা সম্পর্কে পরামর্শ এবং নির্দেশিকা তথা কার্যকর চ্যারিটি ব্যবস্থাপনার উপর পরামর্শ এবং দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকি।

ব্যারিষ্টার মুস্তাক আহমদ

ল’ম্যাটিক সলিসিটর্সে সিভিল মামলা সমূহের জনপ্রিয় আইনজীবী ব্যারিষ্টার মুস্তাক আহমদ একজন নিবেদিতপ্রাণ জনপ্রতিনিধিও। টাওয়ার হ্যামলেটসে কাউন্সিলর এবং ওভারভিউ এন্ড স্ক্রুটিনি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে বেশ সুখ্যাতি লাভ করেছেন। তিনি ওপেন ইউনিভার্সিটি ইউকে থেকে বিএ অনার্স এবং ইউনিভার্সিটি অব ল’ থেকে এলএলবি (LL.B) ও বিপিটিসি (BPTC) করেছেন। একই ইউনিভার্সিটি থেকে এলপিসি-এলএলএম (LPC-LLM) করছেন। মুস্তাক ইমিগ্রেশন তথা অভিবাসন সম্পর্কেও ব্যাপক অভিজ্ঞতার আলোকে আইনী সেবা দিয়ে যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছেন। তিনি ইংরেজি, বাংলা, সিলেটি, উর্দু ও হিন্দিতে সাবলীলভাবে কথা বলেন।

বিলেতে বাংলাদেশী কমিউনিটির জন্য অভিজ্ঞ আইনজীবীদের সমন্বয়ে একটি কর্পোরেট ল’ফার্মের গুরুত্বারোপ করে ব্যারিষ্টার মুস্তাক আহমদ জানালেন, আইনি উজ্জ্বলতার আলোড়নপূর্ণ নাম ল’ম্যাটিক সলিসিটর্স। এতে যুক্ত রয়েছেন বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ একঝাক মেধাবী আইনজীবী।

সিভিল আইনের জটিলতা সম্পর্কে সহজাত বোধগম্যতা এবং পুলিশ স্টেশনে বন্দীদের সহায়তা করার ক্ষেত্রে বিশেষ সক্ষমতার অধিকারী মুস্তাক আহমদ কমিউনিটির বিশেষ প্রয়োজনে সেবা দিতে পারাকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অর্থবহ মনে করেন। তিনি জানান, কেউ পুলিশ বা অন্য কোন সংস্থার দ্বারা হ্যারাসমেন্টের শিকার হলে সেখানে তাৎক্ষনিক আইনী সহায়তা প্রয়োজন হয়। কমিউনিটির স্বার্থে ক্লায়েন্টের অনুরোধে তিনি সেটা করেন থাকেন বেশ যত্নসহকারে।

একান্ত আলাপচারিতায় ব্যারিষ্টার মুস্তাক খোলামেলা বললেন, আমি ন্যায়বিচারের পবিত্র নীতিসমূহকে সমুন্নত রেখে মামলাগুলি নির্ভুলতার সাথে সমাধানের চেষ্টা করি, যাতে আমার ক্লায়েন্টদের যথার্থ প্রতিনিধিত্ব হয়। এসব কাজে আমি সাধ্যমত সর্বাত্বক সেবা প্রদানে সচেষ্ট হই। আমার আইনী সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ক্লায়েন্ট সেটিকফেক্টশন আমাকে মুগ্ধ করে। এতে আমি খুবই অনুপ্রাণিত হই এবং পরবর্তী কাজে অধিক মনোনিবেশ করি।

সলিসিটর মামুন আহসানুল মজিদ

সলিসিটর মামুন আহসানুল মজিদ অভিবাসন ও পারিবারিক আইনে বিশেষজ্ঞ। তিনি এলএলবি (অনার্স), আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম, জিডিএল, পিজিডি এবং আইনি অনুশীলন কোর্স (এলপিসি) করেছেন। মামুন সবসময় তার ক্লায়েন্টের অগ্রাধিকারে বিশ্বাস করেন। দক্ষ পেশাদারিত্ব এবং মেধা ও মননশীলতার মাধ্যমে তিনি ক্লায়েন্টদের জন্য সেরা ফলাফল পেতে অতিরিক্ত মাইল যান।

আইনজীবী মামুন আহসানুল মজিদ বললেন, পারিবারিক মামলায় আইনী পরামর্শ এবং আদালত বা ট্রাইব্যুনালে প্রতিনিধিত্ব তথা আইনি সহায়তার ক্ষেত্রে আমাদের সাফল্য সুবিদিত। আমি এবং আমার বিভাগের সহকর্মী হাসানুল বান্না (জিডিএল, এলএলএস) এক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের সাংস্কৃতিক পার্থক্য সূক্ষ্মতার সাথে অনুধাবন করি। আমাদের পরামর্শে অনুপাণিত হয়ে অনেকে মামলার আগেই সমস্যা মিটিয়ে ফেলেন। ল’ম্যাটিক সলিসিটর্সের অন্যান্য বিভাগেও মামলা আপোষে নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে জনগনকে উৎসাহিত করা হয়।

উল্লেখ্য, একঝাঁক প্রবীন ও নবীন আইনজীবীর সমন্বয়ে পরিচালিত ল’ম্যাটিক সলিসিটর্স (Lawmatic Solicitors) এর আরো কয়েকজন মেধাবী আইনজীবীর কর্ম তৎপরতা চোখে পড়েছে, যারা দারুণ উদ্যমী ও প্রখর মেধা শক্তির অধিকারী। তাদের মধ্যে ব্যারিষ্টার নওফেল জমির, ব্যারিষ্টার ও সলিসিটর রাজিউর রহমান, ব্যারিষ্টার আরিফুল কবির চৌধুরী, ব্যারিষ্টার এএসএম সোহেল, ব্যারিষ্টার আব্দুর রউফ, ব্যারিষ্টার ইত্তেহাদ, ব্যারিষ্টার ফয়সল জামিল, ব্যারিষ্টার সরফুদ্দীন তামজীদ, ট্রেইনি সলিসিটর হাসানুল বান্না, ট্রেইনি সলিসিটর মোহাম্মদ ইকবাল প্রমুখ উল্লেখযোগ্য।

• সাঈদ চৌধুরী সময় সম্পাদক, কবি ও কথাসাহিত্যিক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *