রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও স্বপ্নীল সজীবের ‘মঙ্গলবারতা’

ফিচার বিনোদন
শেয়ার করুন

আগামী বাংলা নববর্ষ ১৪২৯ উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হবে জীবন্ত কিংবদন্তী সংগীতশিল্পী ড. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা এবং সময়ের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী স্বপ্নীল সজীবের গানচিত্র ‘মঙ্গলবারতা’। ধ্রুব মিউজিক স্টেশন থেকে প্রকাশিতব্য অভিনব পরিবেশনার এ গানে আরও অংশ নিয়েছেন অর্ধশত সংগীতশিল্পী।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পূজা পর্যায়ের ‘সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে’ এবং ইংরেজ কবি ও পাদ্রী জন নিউটনের প্রচলিত ভক্তিগীতি ‘আমেজিং গ্রেস’কে সম্মিলিত করে নতুন করে গীত হয়েছে ‘মঙ্গলবারতা’। গানচিত্রটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন ভারতের সৈকত বিশ্বাস গোবলো। তিনি এই পরিবেশনাতে পুরো কয়্যার এবং সহশিল্পী হিসেবেও অংশগ্রহণ করেছেন।

পরিবেশনাটি সম্পর্কে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা বলেন, এই গানের প্রতিটি স্তবক যেন সাধারণের মনের কথা বলছে। হারাবার ভর, আঁকড়ে ধরে থাকার প্রবৃত্তি, আশার মাঝে জীবনের মর্ম খুঁজে পাওয়া, সুখ-স্বপ্ন, সুখের পেছনে অবিরাম ছুটে চলা-মানব প্রকৃতির এই চিত্র রবিঠাকুর অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন এ গানে। এই অতিমারীর, যুদ্ধ বিগ্রহের সময় আমরা আবারো বুঝছি যে মানুষ বড়ই অসহায়, দিন শেষে একমাত্র অধিপতিই আমাদের শেষ সম্বল। সকল হতাশা, সকল পরাজয়, সকল অসফলতার উত্তর অধিপতি, সকল কিছুর শেষে একমাত্র অধিপতির কাছেই আমাদের শেষ আকুতি, শেষ প্রার্থনা। তাই সম্প্রীতি ও সমার্পন একমাত্র উত্তরণের পন্থা। বিশ্বায়ন ও প্রযুক্তির এই যুগে এই পরিবেশনা শুধু বাংলা ভাষাভাষী মানুষই নয়, সবাইকে আলোর পথ দেখাবে, প্রশান্তি বয়ে আনবে। আমি গর্বিত স্বপ্নীল সজীবের মত গুণী ও তরুণ সঙ্গীতশিল্পীরা এভাবেও রবীন্দ্রনাথের গানকে নিয়ে ভাবছেন। তার উপস্থাপন, গানচিত্রের নন্দন সত্যিই আমাকে মুগ্ধ করেছে।

গানটি প্রসঙ্গে সংগীতশিল্পী স্বপ্নীল সজীব বলেন, আমাদের দেশরত্ন শ্রদ্ধেয় ড. রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা আমাদের বোধিবৃক্ষ। তার সুরের ধারায় যোগ হতে পেরে আমি আনন্দিত, আমি রবীন্দ্রনাথের গানের ব্যাখ্যা করতে চাই না। যে গানের সুর, যে গানের কথা আমার জীবনের বীজমন্ত্র বলতে পারি, যে গান আমার চেতনার উন্মেষের লগ্ন থেকে আমাকে এতটা পথ জীবনের এই সুন্দর পথ চলায় এগিয়ে নিয়ে এসেছে আমার কৈশোর, আমার যৌবন, আমার সায়ান্হ বেলা পর্যন্ত সেই গান বুকে আঁকড়ে নিয়ে যেন যেতে পারি এটাই আমার একান্ত প্রার্থনা।

গানটি প্রযোজনা করেছেন ধ্রুব গুহ এবং সমগ্র আয়োজনটি পরিচালনা করেছেন স্বপ্নীল সজীব। ভিডিওচিত্র নির্মাণ করেছেন শুভব্রত সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *