রাফাহ শহরের পূর্ব দিকে ইসরায়েলি বিমান হামলার পর ধোঁয়া উঠছে। এই হামলায় কমপক্ষে ১২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। দীর্ঘ সাত মাসব্যাপী যুদ্ধ স্থগিত করতে মিসর ও কাতারের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব হামাস যখন গ্রহণ করেছে, ঠিক তখন ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন হামলা আলোচকদের মাঝে অস্বস্তি সৃষ্টির কারণ হয়েছে।
ইসরায়েলি ট্যাঙ্কগুলি সোমবার রাতের বেলা অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে মিশর সীমান্তে রাফাহ ক্রসিং দখল করেছে তাদের সেনারা। সংবাদ মাধ্যম আওসাত জানিয়েছে, ইসরায়েলি ৪০১তম ব্রিগেড মঙ্গলবার ভোরে রাফাহ ক্রসিংয়ে প্রবেশ করেছে। যুদ্ধবিমানগুলি আবাসিক বাড়িগুলিতে আঘাত করেছে।
হামলার আগে হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পর জাতিসংঘের সহায়তা সংস্থা এবং অন্যান্য সাহায্য গোষ্ঠী রাফাহতে ইসরায়েলি সামরিক হামলার ধ্বংসাত্মক পরিণতি সম্পর্কে সতর্ক করেছে।
সোমবার রাতে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর অফিস জানায়, যুদ্ধ মন্ত্রিসভা ‘হামাসের ওপর চাপ প্রয়োগের’ লক্ষ্যে রাফায় অভিযান কার্যকর করতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা ইসরায়েল পণবন্দীদের মুক্তি এবং যুদ্ধের অন্যান্য লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য হামাসের ওপর চাপ দিতে অভিযান অব্যাহত রাখবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, হামাসের সর্বশেষ প্রস্তাবটি ইসরায়েলের মুখ্য দাবিগুলো থেকে অনেক দূরে। গ্রহণযোগ্য শর্তাবলী হাসিলের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টার লক্ষ্যে ইসরায়েল ওয়ার্কিং-লেভেলের দল পাঠাবে।
এদিকে তেল আবিবে যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মেনে নিতে পণবন্দী অনেক পরিবারের সদস্যরা বিক্ষোভ শুরু করেছে। তারা ড্রাম বাজিয়ে, বুলহর্ন ফুঁকে এবং আলো জ্বালিয়ে চুক্তিটি গ্রহণ করে তাদের প্রিয়জনদের ফিরিয়ে আনার দাবি জানাচ্ছে। সূত্র : আল জাজিরা আওসাত ও অন্যান্য