মানব জাতির প্রতি আল্লাহর সবচে বড় অনুগ্রহগুলোর একটি হলো কুরআনুল কারীম। কুরআন আমাদের পথপ্রদর্শক। কুরআন আমাদের অন্ধকার থেকে আলোর পথে চালিত করার দিকনির্দেশক। কুরআন সত্যিকারের উন্নতি-অগ্রগতির মাধ্যম। কুরআনের সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়াই প্রতিটি মুসলমানের ঈমানী দায়িত্ব।
রমজান মাসে প্রথম দুই-তিন দিন তারাবীহর নামাজে অনেক মানুষ হয়। এরপর আস্তে আস্তে কমতে থাকে। এবং সে সময় থেকে দেখা যায় অনেকেই নামাজে গেলেও পুরো তারাবীহ না পড়ে কয়েক রাকআত পড়েই চলে যায়। যারা পড়েন, তাদের মধ্যে অনেকেই অপেক্ষায় থাকে- ইমাম কখন রুকুতে যাবেন। আসলে তারাবীহর নামাজে আমরা মনোযোগী হতে পারি না কেনো?
আরব দেশের মুসল্লিদের তারাবীহর নামাজের ভিডিওতে দেখা যায় তারা নামাজ খুব উপভোগ করছেন। ইমাম তেলাওয়াত করলে তারা কান্না করেন।
নামাজে কী তেলাওয়াত হচ্ছে বুঝতে পারেন বলেই তাদের কাছে তারাবীহর নামাজ উপভোগ্য। আমরা কীভাবে তারাবীহর নামাজ উপভোগ্য করতে পারি? আমরা তো আরবি বুঝতে পারি না! তাহলে তারাবীহর নামাজের সময়ে কোন দিন কি পড়ায় তা কিভাবে বুঝতে পারি?
বাংলাদেশের মানুষ যেন তারাবীহর নামাজ মনোযোগের সাথে পড়তে পারে, এজন্য শায়খ আহমাদুল্লাহ একটি ব্যতিক্রমী বই লিখেছেন। প্রতিদিন তারাবীহর নামাজে যা তেলাওয়াত হয়, সেটার সংক্ষিপ্ত বিষয়বস্তু নিয়েই চমৎকার এই বই। বইটির নাম ‘তারাবীহর সালাতে কুরআনের বার্তা’।
প্রতিদিন ইফতার শেষে নামাজে যাবার আগে মাত্র ১০ মিনিট সময় নিয়ে ঐদিনের তেলাওয়াতের বিষয়বস্তু পড়তে পারেন। এতে করে নামাজে মনোযোগী হতে পারবেন। আরবি না বুঝলেও অন্তত বুঝতে পারবেন- আজ কী তেলাওয়াত হবে৷
‘তারাবীহর সালাতে কুরআনের বার্তা’ বইটি ইতোমধ্যে অসংখ্য মানুষ সংগ্রহ করেছেন। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পাবলিকেশন্স প্রকাশিত তারাবীহ সলাতের বিষয়বস্তু বুঝতে পড়ুন ‘তারাবীহর সালাতে কুরআনের বার্তা’ বইটি।