‘বাংলাদেশে নির্যাতন গুম ফের বেড়েছে’

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

বাংলাদেশে নির্যাতন গুম ফের বেড়েছে – এইচআরডব্লিউর বার্ষিক প্রতিবেদন নিয়ে সমকালের শিরোনাম। বিস্তারিত বলা হয় বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচনের আগে বিরোধী দলের সদস্যদের ওপর দমনপীড়ন এবং সহিংসতায় অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটের অঙ্গীকার ক্ষুণ্ন হয়েছে।

নিরাপত্তা বাহিনী বিরোধী নেতাকর্মীকে গণগ্রেপ্তার এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করেছে। বৈঠকের ফাঁস হওয়া আলোচ্যসূচিতে দেখা গেছে, দৃশ্যত ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা পরিকল্পনা করে গ্রেপ্তার অভিযান পরিচালনা করেছেন যাতে বিরোধী নেতাদের নির্বাচনে অযোগ্য করা যায়। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) বৃহস্পতিবার তাদের ২০২৪ সালের বৈশ্বিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে এসব কথা বলেছে।

বাংলাদেশি মানবাধিকার পর্যবেক্ষকদের মতে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২০০৯ সাল থেকে ৬০০টির বেশি গুমের ঘটনা ঘটিয়েছে এবং প্রায় ১০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র র‌্যাবকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে আসার পর গুমের ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছিল। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর অত্যাচার ও গুম আবার বেড়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।

বিরোধী দলের খোঁজে! দৈনিক মানবজমিনের প্রধান শিরোনাম এটি। বলা হচ্ছে বিরোধী দল ছাড়া গণতন্ত্র হয় না। এটা তো কেতাবের কথা। বাংলাদেশে হয়।

মানবজমিনের এ লেখায় বলা হয়েছে – গেল অর্ধ শতাব্দীতে গণতন্ত্রের বেশকিছু মডেলের সঙ্গে পরিচিত হয়েছি আমরা। অভাবনীয় কিংবা অভূতপূর্ব কথাগুলোও এখানে পুরনো হয়ে গেছে। ভোট হয়েছে পাঁচ দিন হলো। সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। মন্ত্রিসভাও গঠন হয়ে গেছে। মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টনের কাজও শেষ। তবে বিরোধী দল কারা সে প্রশ্নের জবাব এখনো মেলেনি। সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সংসদ নেতা এবং স্পিকার মিলে বিরোধী দলের নেতা ঠিক করবেন।

একই প্রসঙ্গ নিয়ে প্রথম আলোর শিরোনাম – প্রধানমন্ত্রীর দিকে তাকিয়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। বলা হয় জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল কারা হবে এবং বিরোধীদলীয় নেতা কে হবেন, সেটি এখনো নির্ধারিত হয়নি।

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে জয়ী হওয়া সংসদ সদস্যরা জোটবদ্ধ হয়ে প্রধান বিরোধী দলের ভূমিকা নেবেন কি না, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। জাতীয় সংসদে তাঁদের ভূমিকা কী হবে—সে জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বার্তা বা নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন অনেকে। বেশির ভাগ সংসদে সরকারবিরোধী অবস্থান নিতে আগ্রহী নন। তাঁরা আওয়ামী লীগের হয়েই সংসদে থাকতে চান। তবে দু-একজন বলছেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে তাঁরা জোটবদ্ধ হয়ে বিরোধী দল গঠন করবেন।

সংগঠিত হয়ে ফের মাঠে নামতে চায় বিএনপি – যুগান্তরের খবর। বিস্তারিত বলা হচ্ছে সরকারবিরোধী আন্দোলনের মধ্যেই শেষ হয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।

এতে বিএনপিসহ অনেক রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি। সমাবেশ, বিক্ষোভ, গণসংযোগ, হরতাল, অবরোধ ও অসহযোগ আন্দোলনেও নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি বিরোধীরা। আদায় হয়নি কোনো দাবি-দাওয়া। উলটো নানাভাবে কোণঠাসা এখন বিএনপি। দলটির মহাসচিবসহ শীর্ষ নেতাদের অনেকেই কারাবন্দি। এখনো আত্মগোপনে অনেকে।

তবে দাবি আদায়ে এখনো আত্মবিশ্বাসী তারা। এজন্য চলমান আন্দোলন অব্যাহত রাখতে চায়। সংগঠিত হয়ে ফের রাজপথে নামার পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। নতুন আঙ্গিকে ‘ছক’ কষছেন নীতিনির্ধারকরা। কর্মসূচি ঠিক করতে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকও করছেন। শান্তিপূর্ণ সভা, সমাবেশের মধ্যে দিয়ে মাঠে নামতে চান। পাশাপাশি কারাগারে থাকা নেতাকর্মীদের জামিন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা ও গণতান্ত্রিক বিশ্বের ভূমিকার দিকেও নজর রাখছেন।

মন্ত্রী হয়েই পরাজিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা – নয়া দিগন্তের খবর। নির্বাচনি সভায় আপত্তিকর বক্তব্যের অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও’র বিরুদ্ধে আদালতে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর-বিজয়নগর) আসনের এমপি ও নবনিযুক্ত গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

বাদির আইনজীবী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনী প্রচারণার সময় গত ২৬ ডিসেম্বর সদর উপজেলার সুহিলপুরে নির্বাচনি এক সভায় উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন ফিরোজুর রহমান। তার ওই আপত্তিকর বক্তব্যে র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সম্মানহানি হয়েছে।

Forecast of untimely rain worries agriculturists অর্থাৎ অসময়ে বৃষ্টির পূর্বাভাস ভাবনায় ফেলেছে কৃষি সংশ্লিষ্টদের। ইংরেজি দৈনিক নিউ এজের শিরোনাম এটি। এতে বলা হয় ঘন কুয়াশা থেকে আগামী সপ্তাহে বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে। এতে চিন্তায় বিশেষ করে যারা আলু, গম ও সরিষা উৎপাদন করছেন।

তীব্র শীত থাকতে পারে আরও দুদিন, আসবে বৃষ্টি – আবহাওয়া পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম আলোর প্রথম পাতার শিরোনাম। বলা হয় দেশজুড়ে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। ঘন কুয়াশায় রোদের দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে দিন ও রাতে প্রায় একই রকম শীত পড়ছে।

তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। শীতের কারণে মানুষ ঘর থেকে কম বের হচ্ছেন। শ্রমজীবী মানুষের আয় কমেছে। ওদিকে হাসপাতালে শিশু ও প্রবীণ রোগীর ভিড় বাড়ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই তীব্র শীত আরও দু–তিন দিন থাকতে পারে। এরপর ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি আকাশ মেঘলা থাকবে। বৃষ্টি হতে পারে।

বৃষ্টির পর আবার তীব্র শীত নামবে। মাসের বাকি সময় থাকতে পারে তীব্র শীত। এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চল, সিলেট, যশোর ও চুয়াডাঙ্গাজুড়ে বয়ে যেতে পারে শৈত্যপ্রবাহ। তবে আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, সারা দেশে তীব্র শীতের প্রধান কারণ শৈত্যপ্রবাহ নয়। মূল কারণ হলো দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়া।

নতুন কারিকুলাম ও মূল্যায়নে পরিবর্তন আসতে পারে – নতুন শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্য দিয়ে শিরোনাম করেছে দৈনিক ইত্তেফাক।

বলা হয় নতুন শিক্ষাক্রম ও এর মূল্যায়ন পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, নতুন কারিকুলামে বেশকিছু ইনপুট আসছে। এগুলো আমরা বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখছি। এখানে যেসব বিষয়গুলো পরিবর্তন করা প্রয়োজন, সেগুলো অবশ্যই আমরা পরিবর্তন করবো।

শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর বনানীতে নিজ বাসায় এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ইরাব) নেতাদের সঙ্গে এক সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ কথা বলেন।

সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ অর্থনীতি ঠিক রাখা – কালের কন্ঠের প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয় আওয়ামী লীগের নতুন সরকারকে এবার যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে, তার মধ্যে প্রধান চ্যালেঞ্জ দেশের অর্থনীতি ঠিক রাখা।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং কভিড মহামারির কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে সংকট দেখা দিয়েছে, তার ধাক্কার রেশ আরো বেশ কিছুদিন বইতে হবে বাংলাদেশকে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘চ্যালেঞ্জ আসলে রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক—সামনে এই তিনটি চ্যালেঞ্জ রয়েছে।

Gas crisis leaves households, industry on edge – গ্যাস সংকট নিয়ে এমন শিরোনাম করেছে দ্য ডেইলি স্টার। এতে বলা হয় পেট্রোবাংলার তথ্য অনুযায়ী ২০২০ সালের এপ্রিলের পর গ্যাস সরবরাহ এখন সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। প্রতিদিন ৩৮০০ মিলিয়ন কিউবিক ফিট চাহিদার বিপরীতে এখন সরবরাহ করা হচ্ছে ২৫০০ মিলিয়ন কিউবিক ফিট। যাতে তীব্র সংকটে রয়েছে শিল্প কারখানা ও বাসা বাড়িও। ডলার সংকটে খুব শিগগিরই এ সংকট থেকে উত্তরণের সম্ভাবনাও দেখছেন না বিশেষজ্ঞরা।

লোহিত সাগরের সংঘাত দীর্ঘমেয়াদি হলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে – এমন শিরোনাম বণিক বার্তার। তারা লিখেছে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম গতকাল একদিনেই বেড়েছে ৪ শতাংশের বেশি। জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের দাম এরই মধ্যে ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলার ছাড়িয়েছে। জ্বালানি তেলের এ বাজার ঊর্ধ্বমুখিতার জন্য লোহিত সাগরের সংঘাতকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাজার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এ সংঘাত যতদিন চলবে, জ্বালানি তেলসহ সব ধরনের জ্বালানি পণ্যের বাজারমূল্যেও অস্থিতিশীলতা বজায় থাকবে। বাংলাদেশে ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদরাও মনে করছেন, এ সংঘাত দীর্ঘমেয়াদি হলে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে এর বড় অভিঘাত দেখা যাবে। তাদের ভাষ্যমতে, লোহিত সাগর সংকট উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে দেশের ভোক্তাদের চাপকেও আরো প্রকট করে তুলতে পারে। মোট বিশ্ব বাণিজ্যের ১৫ শতাংশই হয় এ নৌ-রুটটি দিয়ে। নৌপথে বাংলাদেশ-ইউরোপের পণ্য আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের প্রায় পুরোটাই হয় এখান দিয়ে।

অন্যান্য খবর

Plight of jobless Bangladeshis in Malaysia. Who is to blame? ইংরেজি দৈনিক বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের শিরোনাম এটি।

বলা হচ্ছে চার বছর পর ২০২২ সালের অগাস্টে বাংলাদেশের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আবারো চালু হয়। এরপর থেকে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশী শ্রমিক মালয়েশিয়ায় গিয়েছে। কিন্তু এদের মধ্যে এক চতুর্থাংশ প্রায় ১ লাখ শ্রমিক এখন কর্মহীন মানবেতর দিন কাটাচ্ছে। বিএমইটি সূত্রে জানা যায় আগে সৌদি আরব নিয়ে এমন অভিযোগ বেশি আসলেও এখন মালয়েশিয়া থেকেও প্রায় সমান অভিযোগ আসছে। মালয়েশিয়া সরকার বলছে তাদের দেশে এখন প্রয়োজনের অতিরিক্ত শ্রমিক চলে এসেছে।

‘লোকসান ঘোচাতে’ ফের মাংসের কেজি ৭০০! সমকালের খবর। এতে বলা হয় মাস দূয়েক আগে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কিছুটা স্বস্তি দিয়েছিল গরুর মাংস। প্রতি কেজির দর ৭৫০ থেকে কমে ৬০০ টাকায় নেমেছিল।

মাংসের দর কমার কারণে সবজির বাজারে দামেও স্বল্প সময়ের জন্য কিছুটা প্রভাব পড়ে। তবে ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে যাচ্ছিল এই দামে মাংস বিক্রি করে তারা লোকসান গুনছে। তারপরও সংসদ নির্বাচনের দিন পর্যন্ত মাংসের দাম ৬৫০ টাকার মধ্যেই স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু নির্বাচনের পরদিন থেকে লোকসান পুষিয়ে নেয়ার অজুহাতে আবার গরুর মাংসের দর কেজিতে এক লাফে ৫০ থেকে ১০০ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। – বিবিসি বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *