পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদকে নিয়ে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর বিষয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন তিনি। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একাধিকবার হাজির হয়েছেন।
ফেসবুকে এসে নিজেকে নিয়ে প্রকাশিত সংবাদকে অসত্য বলে দাবি করেছেন বেনজীর আহমেদ। শনিবার (২০ এপ্রিল ২০২৪) ‘আমার কিছু কথা’ শিরোনামে এক ভিডিও বার্তায় তার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আপনারা জানেন যে আমি প্রায় দুই বছর আগে চাকরি থেকে অবসর নিয়েছি। এই অবসরকালীন সময়ে আমি নিরিবিলি জীবন কাটাচ্ছি। চাকরিকালীন সময় বিগত ২০১২ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী কর্তৃক অবিরত এবং ক্রমাগত অপপ্রচার এবং ব্যক্তিগত চরিত্রহননের অপচেষ্টার শিকার হয়েছি। .. আমার পরিবার ও আমার নামে অসত্য প্রকাশিত হয়েছে। তিলকে তাল বানিয়ে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই সংবাদের সূত্র ধরে অন্যান্য কতিপয় আউটলেট একই রকমের সংবাদ পুনরাবৃত্তি ক্রমে পরিবেশন করেছে। তবে দেশের মূলধারার প্রিন্ট এবং মিডিয়া এই অসত্য, মানহানিকর এবং বিকৃত সংবাদ পরিবেশনে কোন আগ্রহ দেখায়নি। এজন্য মূলধারার গণমাধ্যমগুলোর সাংবাদিক বন্ধুগণের প্রতি আমি এবং আমার পরিবারের অনেক অনেক কৃতজ্ঞতা।’
ঘটনাটি বুঝার জন্য সম্প্রতি কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি খবর হুবহু দেওয়া হল। তারা লিখেছে, “পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ তাঁর অপকর্ম নিয়ে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলোর বিষয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন। আজ মঙ্গলবার (০২ এপ্রিল ২০২৪) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে কিসের ইঙ্গিত দিলেন তিনি? বেনজীর আহমেদের নানা অপকর্ম ও দুর্নীতির তথ্য তুলে ধরে ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশ করেছে কালের কণ্ঠ। গত রবিবার ‘বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’, ‘মেয়ের বিশ্রামের জন্য সাড়ে তিন কোটি টাকার ফ্ল্যাট’ এবং আজ মঙ্গলবার ‘বনের জমিতে বেনজীরের রিসোর্ট’, ‘সেন্ট মার্টিন কক্সবাজারেও ভূ-সম্পত্তি’ শিরোনামে কালের কণ্ঠে প্রকাশিত অনুসন্ধানী প্রতিবেদনগুলো দেশে-বিদেশে তুমুল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। একজন সরকারি কর্মকর্তা কিভাবে এত সম্পদের মালিক বনে গেছেন, তা নিয়ে কড়া সমালোচনা করছেন অনেকে।
আবার কেউ কেউ অবৈধ ও অনিয়মের মাধ্যমে সম্পদের মালিক হওয়ায় বেনজীর আহমেদকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নিতে বেনজীরের সঙ্গে একাধিকবার বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করে কালের কণ্ঠ। কিন্তু বেনজীরের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অবশেষে মঙ্গলবার তিনি এ বিষয়ে মুখ খোলেন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন বেনজীর আহমেদ। সেখানে তিনি লেখেন, দু একজন অনেক ক্ষিপ্ত, খুব ই উত্তেজিত হয়ে এক্ষুনি সম্পাদকীয়, উপসম্পাদকীয়, প্রবন্ধ লিখে ফেলছেন। দয়া করে সামান্য ধৈর্য্য ধরুন। ঘোষণাই তো আছে, “কুৎসার কিসসা আভি ভি বাকি হ্যায়। তবে সেই পোস্টটিকে ইতিবাচকভাবে নেয়নি নেটিজেনরা। বেশির ভাগ মানুষই তাঁর পোস্টে পাল্টা প্রশ্ন করে দুর্নীতির বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকে আবার তাঁর আরো দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ আছে কি না, সে বিষয়েও জানতে চেয়েছেন।”