পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না সুপ্রিম কোর্ট

এশিয়া সময় সংবাদ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল বলেছেন, রাষ্ট্রীয় ও পররাষ্ট্রনীতির মতো নীতিগত বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করবেন না। এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা নীতিগত বিষয়ে জড়াতে চাই না।’

সংবাদমাধ্যম ডনের সূত্র মতে এসময় তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা প্রস্তাব জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার কাসিম সুরির খারিজ করে দেওয়ার বৈধতার বিষয়টি নিয়েই কেবল সিদ্ধান্ত দেবেন সর্বোচ্চ আদালত।

অনাস্থা প্রস্তাব খারিজের বিষয়ে গত ৫ এপ্রিল, মঙ্গলবার শুনানিতে পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) কৌঁসুলি মাকদুম আলী খানের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনকালে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। অনাস্থা প্রস্তাবকে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) সরকার উৎখাতে ‘বিদেশি ষড়যন্ত্রের’ অংশ এবং সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫–এর সঙ্গে সাংঘর্ষিক আখ্যা দিয়ে তা নাকচ করে দেন ডেপুটি স্পিকার।

অনাস্থা প্রস্তাব নাকচের পর এ ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে (সুয়োমোটো) নোটিশ গ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতি। এরপর এ বিষয়ে শুনানিতে তার নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চ গঠন করা হয়।

শুনানিতে প্রধান বিচারপতি উমর আতা বান্দিয়াল বলেন, নীতিগত বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবেন না আদালত। তারা কেবল ডেপুটি স্পিকারের রুলিংয়ের ওপরই গুরুত্ব দেবেন। এর আগে বিদেশি ষড়যন্ত্রের বিষয়ে গোয়েন্দাপ্রধান থেকে রুদ্ধদ্বার ব্রিফিং নিতে সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি প্রস্তাব দেন পিএমএল-এনের কৌঁসুলি।জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘এখন আমরা আইন ও সংবিধানের বিষয়টি দেখছি। আমরা কেবল এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার ওপর অগ্রাধিকার দিচ্ছি। আমরা দেখতে চাইছি, ডেপুটি স্পিকারের দেওয়া রুলিং সর্বোচ্চ আদালত পুনর্বিবেচনা করতে পারেন কি না।’

প্রধান বিচারপতির মত বিচারপতি ইজাজুল আহসানও জানান, আদালত কেবল সাংবিধানিক বিষয়টি দেখতে চান।

গত মঙ্গলবারের শুনানিতে জাতীয় পরিষদে অনাস্থা প্রস্তাবের কার্যবিবরণীও চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। আজ বুধবার স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে গত ৩ এপ্রিল, রোববার জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার ‘অসাংবিধানিক’ আখ্যা দিয়ে খারিজ করে দেন। এর পরপরই প্রেসিডেন্টকে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ দেন ইমরান খান। পুরো প্রক্রিয়া ‘অসাংবিধানিক’ দাবি করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *