পাইলটের সিগারেটের আগুনের কারণে বিধ্বস্ত হয় উড়োজাহাজটি

মধ্যপ্রাচ্য সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

মিসরের ইজিপ্ট এয়ারের একটি উড়োজাহাজ দুর্ঘটনায় ২০১৬ সালে ৬৬ জন যাত্রী নিহত হন। কায়রো থেকে প্যারিসগামী বিমানটি পূর্ব ভূমধ্যসাগরে বিধ্বস্ত হয়েছিল। সেই দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্তে জানা গেল, ককপিটে পাইলটের জ্বালানো সিগারেট থেকেই বিমানে আগুন লাগে, যা হতভাগ্য যাত্রীদের মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট–এর খবরে বলা হয়েছে, তদন্তে উঠে এসেছে, এমএস ৮০৪ ফ্লাইটের পাইলট ককপিটেই সিগারেটে আগুন জ্বালান, যার ফলে উড়োজাহাজের একটি ‘ইমার্জেন্সি মাস্ক’ থেকে অক্সিজেন লিকেজ হয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফরাসি উড্ডয়ন বিশেষজ্ঞরা এই তদন্ত করেছেন।

প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, কেবল ফ্লাইট এমএস ৮০৪-ই নয়, মিসরের অন্য পাইলটরাও নিয়মিত ককপিটে ধূমপান করেন। এই দুর্ঘটনার আগপর্যন্ত বিমান পরিচালনা কর্তৃপক্ষের এ বিষয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা ছিল না।

কায়রো থেকে প্যারিস যাত্রার পথে গ্রিসের ক্রিট দ্বীপের কাছে রহস্যজনকভাবে এয়ারবাস এ৩২০ মডেলের উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৪০ জন মিসরের ও ১৫ জন ফ্রান্সের নাগরিক ছিলেন। এ ছাড়া দুজন ইরাকের, দুই কানাডার নাগরিক ছিলেন। আলজেরিয়া, ব্রিটেন, চাদ, পর্তুগাল, সৌদি আরব ও সুদানের একজন করে নাগরিক ছিলেন।একটি উড়োজাহাজের জীবনকাল সাধারণত ৩০ থেকে ৪০ বছরের হয়। সে তুলনায় বিধ্বস্ত হওয়া মিসরের বিমানটি নতুনই ছিল। ২০০৩ সালে বিমানটি যাত্রা শুরু করে।

উড়োজাহাজটি ৩৭ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়ছিল। গ্রিসের কারপাথোস দ্বীপ থেকে আনুমানিক ১৩০ নটিক্যাল মাইল দূরে উড়োজাহাজটি গায়েব হয়ে যায়। গ্রিসের কাছে গভীর সমুদ্রে উড়োজাহাজটির ব্লাক বক্স মেলে। এরপরই উড়োজাহাজটি খুঁজতে ব্যাপক তৎপরতা শুরু হয়।

দুর্ঘটনার পর মিসরীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করে, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী উড়োজাহাজটি ভূপাতিত করেছে। তবে সে সময় কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *