জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে এমসিএ

যুক্তরাজ্য সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অফ জাস্টিসের (আইসিজে) রায়কে স্বাগত জানিয়েছে মুসলিম কমিউনিটি অ্যাসোসিয়েশন (এমসিএ)। ইসরায়েল নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের হত্যা বন্ধে আন্তর্জাতিক আদালতের নির্দেশ মেনে নেবে বলে এমসিএ’র সভাপতি ব্যারিস্টার হামিদ হুসেইন আজাদ এক বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করেছেন।

আদালতের আদেশে বলা হয়, আন্তর্জাতিক গণহত্যা সনদের আওতায় গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা থেকে সুরক্ষা পাওয়ার অধিকার আছে। ইসরায়েলের সেনারা যাতে গাজায় গণহত্যার মতো কোনো কিছু না করে, সেটা অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। একই সঙ্গে গাজায় মানবিক পরিস্থিতির উন্নয়নে সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে। ইসরায়েলকে অবশ্যই গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি দিতে হবে।

আইসিজে দেখতে পেয়েছে, এটি বিচারের আওতায় পড়ে এবং মনে করে যে ১৯৪৮ সালের জেনেভা কনভেনশন মানা হয়নি, যাতে করে গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণ অপূরণীয় ক্ষতির হুমকির মধ্যে আছেন।

রায় সম্পর্কে দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, আন্তর্জাতিক আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে এই সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক, ফিলিস্তিনি জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

এমসিএ’র সভাপতি ব্যারিস্টার হামিদ হুসেইন আজাদ বলেন, ইসরায়েল কর্তৃক আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। আইসিজের রায় মানুষের বিবেক ও মানবাধিকারের জন্য একটি বিজয়। আমরা আশা করি ইসরায়েল এখন নিরপরাধ নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের হত্যা বন্ধ করবে, গণহত্যা বন্ধ করবে এবং অবিলম্বে আইসিজের নির্দেশ দ্রুত বাস্তবায়ন করবে।

ব্যারিস্টার আজাদ আরো বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার সাহসী সরকার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যে ঐতিহাসিক মামলা এনেছিল, বিশ্ববাসী তা দেখছে। আমরা আদালতের সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। তবে এমসিএ আশা করেছিল আইসিজে দ্রুত যুদ্ধবিরতির দাবি জানাবে। আমরা অবিলম্বে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বান অব্যাহত রাখব- যাতে ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী কর্তৃক গাজায় হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধ করা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *