চোখ বাধা অবস্থায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে নাহিদ ইসলামকে

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলামকে চোখ বাধা অবস্থায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থী হাসিব আল হাসান। রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি এখন চিকিৎসাধীন আছেন।

ভয়েস অফ আমেরিকাকে নাহিদের বাবা বদরুল ইসলাম জানান, শনিবার রাত আড়াইটার দিকে বন্ধুর বাসা থেকে ডিবি পুলিশ (তাদের অনুমান) নাহিদ ইসলামকে তুলে নিয়ে যায়। আমরা (শনিবার) সকালে ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলাম, তারা আমাদের জানিয়েছে ডিবি তাকে তুলে নেয়নি। ডিবি কার্যালয়ে তখন কোন সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেছেন বদরুল ইসলাম। –

চোখ বেঁধে, হ্যান্ডকাফ পড়িয়ে তুলে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়’- নাহিদ ইসলাম

চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ও শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। সেখান থেকে মুক্ত হওয়ার পর নাহিদ ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, “ডিবি পরিচয়ে রাষ্ট্রীয় একটি বাহিনী আমাকে তুলে নিয়ে যায়। পরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। এখনো আমার দুই কাঁধ ও বাম পায়ের রক্ত জমাট বেধে আছে”।

তিনি বলেন, আমার ধারণা রাষ্ট্রীয় কোন বাহিনী আমাকে তুলে নিয়েছিল। তুলে নেয়ার পর একটি প্রাইভেট কার বা মাইক্রোতে ওঠানো হয়। তিন থেকে চার স্তরের কাপড় দিয়ে তার চোখ বাঁধা হয় এবং হ্যান্ডকাফ পরানো হয়”। “কিছু সময় পর গাড়ি থেকে নামিয়ে একটি বাড়ির রুমে নেওয়া হয়। আমাকে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং পরবর্তীতে আমার উপর মানসিক ও শারীরিক টর্চার শুরু করা হয়। এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। এরপর আমার কোন স্মৃতি নাই।”

রোববার ভোর চারটা থেকে পাঁচটার দিকে ঢাকার পূর্বাচল এলাকায় তার জ্ঞান ফেরে বলে বিবিসি বাংলাকে জানান তিনি। মি. ইসলাম বলেন, “এই আন্দোলনে আমি যাতে নেতৃত্ব বা নির্দেশনা দিতে না পারি এমন কোন বিষয় থেকে হয়তো আমাকে তুলে নেয়া হয়েছিল। হয়তো নানামূখী চাপের কারণে আমাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে”। কারফিউর মধ্যে কর্মসূচী থাকবে কী না সেটি এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও বিবিসি বাংলাকে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *