চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ‘বিশ্বশান্তি’ প্রচারে উপসাগরীয় দেশগুলোর সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা জোরদারের জন্য প্রস্তুতির ইঙ্গিত দিয়েছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সউদী আরবে প্রথম চীন-আরবরাষ্ট্র সম্মেলন এবং চীন-উপসাগরীয় কোণ্ডঅপারেশন কাউন্সিলের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কয়েক সপ্তাহ পর এই বিবৃতি এলো।
বৈঠকে শির প্রস্তাবিত ‘আটটি যৌথ পদক্ষেপ’ সম্পর্কে বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিকের প্রশ্নে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তান কেফেই বলেছেন, অন্যান্য জিনিসের মধ্যে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা উদ্যোগগুলো যৌথভাবে প্রচার করতে চীনা সামরিক বাহিনী আরবদেশগুলোর সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক। ভবিষ্যতে চীন-আরব সম্প্রদায়ের বিনির্মাণে দুই দেশের গভীর সম্পর্ক ইতিবাচকভাবে অবদান রাখবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
চীনা সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আরবদেশগুলোর সেনাবাহিনীকে ‘বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বাহিনী’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন কেফেই। তিনি উল্লেখ করেছেন যে বেইজিং ও আঞ্চলিক শক্তি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সামরিক প্রযুক্তি ভাগ করেছে এবং যৌথ মহড়া দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের মতে, এই ‘ফলদায়ক সহযোগিতা’ চীন ও আরবদেশগুলোর মধ্যে ‘কৌশলগত পারস্পরিক বিশ্বাস’ গড়ে তুলতে সাহায্য করেছে।
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট শি বাদশাহ সালমানের আমন্ত্রণে ৭ থেকে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিয়াদে সরকারি সফরে ছিলেন। চীন-আরব শীর্ষ সম্মেলনের বক্তৃতায় ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান জানিয়েছেন, চীন এবং পারস্য উপসাগরের দেশগুলোর মধ্যে একটি মুক্ত-বাণিজ্য অঞ্চল তৈরির বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ছাড়াও উপসাগরীয় দেশ এবং চীন ‘খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তার সমস্যা’ সমাধানের পাশাপাশি সরবরাহ ক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য যৌথভাবে কাজ করার পরিকল্পনা নিশ্চিত করেছে। ফলস্বরূপ বেইজিং ও রিয়াদ বেশ কয়েকটি চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। চীনের রাষ্ট্রপ্রধান তার মিসরীয় সমকক্ষ আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির সঙ্গেও আলাদা বৈঠক করেছেন।
সূত্রঃ আরটি