বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গাছ ও দেয়াল চাপা পড়ে টেকনাফে ৪জন, চট্টগ্রামে ২জন ও টাঙ্গাইলে ১জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ঘূর্ণিঝড় মিধিলির ফলে বরিশাল-খুলনা থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম পর্যন্ত উপকূলজুড়ে বয়ে যাওয়া ঝোড়ো বাতাস ও ভারী বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করে গত রাতে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি গভীর নিম্নচাপ আকারে পটুয়াখালী এলাকায় অবস্থান করছিল। মিধিলি দুর্বল হয়ে যাওয়ায় মোংলা ও পায়রা বন্দরে দেওয়া ৭ নম্বর সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর করা হয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার বন্দরের ৬ নম্বর সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সকালে কক্সবাজারের টেকনাফে বসতঘরের মাটির দেয়াল চাপায় এক পরিবারের মা, তিন ছেলে-মেয়েসহ চার জনের মৃত্যু হয়েছে। টেকনাফের হ্নীলা ইউপির চেয়ারম্যান রাশেদ মাহমুদ আলী জানান, কয়েক দফা ভারী বৃষ্টিতে বসতঘরের মাটির দেয়াল চাপায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী একটি পরিবারের চারজন নিহত হন।
শুক্রবার দুপুরে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলা পরিষদের গেটের সামনে বাতাসে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে রাজ্জাক মিয়া (৪০) নামের এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। রাজ্জাক মিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মিরিকপুর গ্রামের কুসুম মিয়ার ছেলে।