গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে যুক্তরাষ্ট্রের আটটি শহরে ইহুদিদের বিক্ষোভ

আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্য সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ যুদ্ধবিরতির দাবিতে ইহুদি সম্প্রদায় বৃহস্পতিবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আটটি শহরে বিক্ষোভ করেছেন। নিউইয়র্ক সহ বোস্টন, আটলান্টা, শিকাগো, মিনিয়াপলিস, সিয়াটল এবং পোর্টল্যান্ড, ওরেগনেও বিক্ষোভ হয়েছে।

ওয়াশিংটন এবং ফিলাডেলফিয়ার ব্যস্ত রাস্তায় এবং সেতুগুলিতে ভিড়ের সময় তারা ট্র্যাফিক অবরোধ করেছেন।

ওয়াশিংটনে ইহুদি ভয়েস ফর পিস গ্রুপ বলেছে,  প্রায় ৯০ জন বিক্ষোভকারী মার্কিন রাজধানীর উত্তর-পশ্চিম অংশে নিউইয়র্ক অ্যাভিনিউ পর্যন্ত ওভারপাস অবরোধ করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভটি নিউইয়র্ক অ্যাভিনিউ এবং নর্থ ক্যাপিটল স্ট্রিটের সংযোগস্থল বন্ধ করে দেয় এবং জনগণকে বিকল্প রুট ব্যবহার করার আহ্বান জানায়।

ফিলাডেলফিয়ায় প্রায় ২০০ জন বিক্ষোভকারী সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য ১-৭৬ হাইওয়ে অবরোধ করেন। সেখানে ৩০ জনেরও বেশি প্রতিবাদীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রয়টার্সের একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের ব্যানার লেখাছিল: “গাজা বাঁচুক” এবং যুদ্ধে “আমাদের নামে নয়।”

ইসরায়েলি বাহিনী উপকূলীয় ছিটমহলটি ঘেরাও করেছে এবং এর বেশিরভাগ অংশ নষ্ট করে দিয়েছে।  প্রায় ১৯ হাজার মানুষ মারা গেছেন বলে ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক সমালোচনাকে তোয়াক্কা না করেই ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। পশ্চিম তীরেও চলছে অভিযান-হামলা। এতে বেড়েই চলেছে হতাহতের সংখ্যা।

এমন পরিস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে ইহুদি সম্প্রদায়।

গাজায় যুদ্ধবিরতির বৈশ্বিক দাবি উঠেছে। গত মঙ্গলবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে তোলা প্রস্তাবে নিরঙ্কুশ সমর্থন দেয় সদস্যদেশগুলো।

গাজাবাসী ‘ইতিহাসের সবচেয়ে কালো অধ্যায়’ পার করছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর প্রধান ফিলিপ লাজারিনি।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলের হামলা ও হুমকির মুখে উপত্যকাটির ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে ১৯ লাখই এখন বাস্তুচ্যুত।

জাতিসংঘের ত্রাণ ও কর্মবিষয়ক সংস্থা বলছে, একদিকে চলছে ইসরায়েলি হামলা, অন্যদিকে বৃষ্টি; দুর্দশা এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে গাজা যেন ‘নরকে’ পরিণত হয়েছে।

এসবের জেরে গাজায় মেনিনজাইটিস, জন্ডিসসহ বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ার বড় ঝুঁকি রয়েছে বলে আশঙ্কা জাতিসংঘের। সুত্র: রয়টার্স ও অন্যান্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *