বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকের পর সোমবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এ কথা জানান তিনি। রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘সর্বসম্মতিক্রমে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির বৈঠকে তিন বাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন৷ রাষ্ট্রপতির উপপ্রেসসচিব মুহা. শিপলু জামানের সাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতেও এ কথা জানানো হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধান, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সাম্প্রতিক বিভিন্ন মামলায় আটককৃতদেরও অনতিবিলম্বে মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, চলমান লুটতরাজ ও হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধে সেনাবাহিনী কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে৷ এছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি যেন কোনোভাবেই বিনষ্ট না হয় সে ব্যাপারেও একমত হন সবাই৷
সভায় কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয় এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করা হয়৷
সভায় বিএনপি, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিস, গণসংহতি আন্দোলন ও গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও শিক্ষক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন৷