কুতুব মিনার এবার হিন্দুত্ববাদীদের রোষানলে

এশিয়া সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই প্রকাশ্যে এল আরেক চাঞ্চল্যকর ঘোষণা। ঐতিহাসিক কুতুব মিনার অঞ্চলে মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করতে নির্দেশ দিয়েছে ভারতের মোদি সরকার। গত শনিবার ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব গোবিন্দ মোহন ১২ জনের একটি দল নিয়ে কুতুব মিনার চত্বর পরিদর্শনে যান। এলাকা পরিদর্শন করার পরেই এএসআইকে মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু করতে নির্দেশ দেন তথ্যসচিব। এছাড়া ওই চত্বরে যেসব মূর্তি পাওয়া গেছে, তার আইকনোগ্রাফি করতে হবে।

পরিদর্শকদের দলে ছিলেন তিন জন ইতিহাসবিদ, চার জন এএসআই কর্মকর্তা। এছাড়া কয়েকজন গবেষকও ছিলেন। জানা গিয়েছে, আপাতত কুতুব মিনারের দক্ষিণ দিক থেকে খোঁড়ার কাজ শুরু করা হবে। খনন কাজ চালাতে হবে মিনার থেকে ১৫ মিটার দূরে। তবে কতদিনের মধ্যে এই কাজের রিপোর্ট পেশ করতে হবে, সেই বিষয়ে কোনো নির্দেশ দেয়া হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের পরে কুতুব মিনার চত্বরে কোনো খনন কাজ চালানো হয়নি।

সাম্প্রতিক অতীতে এএসআইয়ের প্রাক্তন কর্মকর্তা ধরমবীর শর্মা বলেছিলেন, কুতুব মিনার তৈরি হয়েছিল রাজা বিক্রমাদিত্যের আমলে। তিনি সূর্যের আলো দেখে দিক নির্ধারণ করার জন্য বানিয়েছিলেন এ মিনার। এছাড়াও ওই চত্বর থেকে কৃষ্ণ, গণেশ-সহ বেশ কিছু দেবদেবীর মূর্তি পাওয়া গেছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ দাবি জানিয়েছিল, কুতুব মিনারের নাম পরিবর্তন করে বিষ্ণুস্তম্ভ করতে হবে। তাদের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছিল, ২৭টি হিন্দু মন্দির ধ্বংস করে তৈরি করা হয়েছিল কুতুব মিনার। সব মিলিয়েই এএসআইকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে মাটি খুঁড়ে অনুসন্ধান চালাতে।

কুতুব মিনার ছাড়াও আরো দুটি জায়গায় খনন কাজ চালাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মেহরৌলির লালকোট কেল্লা এবং আনঙ্গতাল অঞ্চলে খনন কাজ চলবে। ইতোমধ্যেই জ্ঞানবাপী মসজিদের পুকুরে একটি ঝরনার অংশবিশেষ পাওয়া গেছে যাকে হিন্দুরা শিবলিঙ্গ বলে দাবি করছে। সেই এলাকা সিল করে দেয়া হয়েছে। বিতর্কের আবহেই এ ঘোষণার পরে মনে করা হচ্ছে, জ্ঞানবাপীর মতোই বিস্তারিতভাবে অনুসন্ধান চালানো হতে পারে কুতুব মিনারেও। সূত্র : হিন্দুস্থান টাইমস।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *