‘কিংস পার্টি : অস্বাভাবিক উত্থান, স্বাভাবিক পতন’

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

‘কিংস পার্টি:অস্বাভাবিক উত্থান, স্বাভাবিক পতন’ মানবজমিনের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনের আগে কিংস পার্টির হঠাৎ জন্ম হয়। ঝড়ের গতিতে আলোচনায় আসে সর্বত্র। নেতাদের বাগাড়াম্বর দেশের দৃষ্টি কাড়ে। বছরের পর বছর দল তৈরি করে রাজপথে আন্দোলনে সক্রিয় থাকা অনেক দল নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন না পেলেও এসব কিংস পার্টি নিবন্ধন পেয়ে যায় খুব সহজেই।

এসব দলের নেতাদের কথা শুনে মনে হয় নির্বাচনে তারা সংসদ দখল করে নেবে। কিন্তু যত গর্জে তত বর্ষে না- এর মতোই সময়ে অতল গহ্বরে হারিয়ে যায়। অস্বাভাবিক উত্থান হলেও পতন হয় স্বাভাবিক গতিতে। কারণ এদের নেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ। নেই কোনো শক্তিশালী সংগঠন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেও এমন ক’টি কিংস পার্টির উত্থান দেখেছে জাতি। আবার নির্বাচনের পর তাদের হারিয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা হয়েছে। বর্তমান সময়ে একেবারে পর্দার আড়ালে এসব পার্টি। এরমধ্যে রয়েছে তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)।

নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পাওয়ার পর পরই এই তিনটি দল নিয়ে শুরু হয় আলোচনা। আইন অনুযায়ী তাদের নিবন্ধন পাওয়ার অনেক শর্তই অনুপস্থিত। তারপরও কাদের অনুকম্পায় এসব দল নিবন্ধন পেয়েছে তা সবারই জানা। এই অনুকম্পার কারণেই তারা ‘কিংস পার্টি’- হিসেবে পরিচিতি পায়।

‘রোহিঙ্গাদের আবার আশ্রয়ের প্রস্তাবে বাংলাদেশের না’ প্রথম আলোর শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে লড়াইয়ের মুখে প্রাণে বাঁচতে রোহিঙ্গারা নিজেদের আদি নিবাস ছেড়ে রাজ্যের নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে।

এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় আসা কয়েক শ রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণে আশ্রয় দিতে বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে জাতিসংঘ। কিন্তু বাংলাদেশ স্পষ্ট করেই ই জানিয়েছে, নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নয়।

গত বুধবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রোহিঙ্গা বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের সভায় এমন আলোচনা হয়েছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

চলতি মাসের শুরু থেকে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে লড়াইয়ের তীব্রতা বাড়তে থাকে। দুই দেশের সীমান্ত এলাকা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ থেকে ওপারের গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নের সীমান্তের ওপার থেকে গত শুক্রবার রাত থেকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা গেছে।

গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে নাফ নদী হয়ে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে একটি নৌকা ঢুকে পড়ে বলে জানা গেছে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, নৌকায় পাঁচজন রোহিঙ্গা আছে। তাদের মধ্যে একজন গুলিবিদ্ধ। শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে গতকাল সন্ধ্যায় দেখা গেছে, প্রবেশপথে লোকজনের ভিড়। বিজিবির সদস্যরা কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেন না।

‘সরকারের ফাঁদে পা দেয়নি বিএনপি’ যুগান্তরের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ নানা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে বিএনপি। এখনো দলটি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি। এর মধ্যে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে একে একে কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পাচ্ছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। কেউ সাড়ে তিন মাস, আবার কেউ চার মাসেরও বেশি কারাভোগের পর বের হয়েছেন।

গত কয়েক দিনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্তত ১২ জন কেন্দ্রীয় নেতা মুক্তি পেয়েছেন। সদ্য কারামুক্ত ৫ জন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে জেলজীবনসহ নানা বিষয়ে কথা হয় যুগান্তরের সঙ্গে। তারা জানান, নানা নির্যাতনের মধ্যেও সরকারের ফাঁদে পা দেয়নি বিএনপি।

তাদের কেউ বলছেন, কারাগারে থাকা অবস্থায় নানা ধরনের প্রলোভন ও সমঝোতার প্রস্তাব পেয়ে তারা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আবার এ ধরনের প্রস্তাবের বিষয়ে কোনো কিছুই জানেন না বলে মন্তব্য করেছেন অন্য নেতারা। জেলজীবন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, জেলজীবন কারও জন্য ভালো হতে পারে না। রিমান্ডে মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে, কিন্তু মনোবল ভাঙতে পারেনি।

ইংরেজি পত্রিকা দ্য ডেইলি স্টারের শিরোনাম ‘Govt, S Alam to team up to build second oil refinery’. খবরে বলা হচ্ছে, সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন দেশের একমাত্র তেল পরিশোনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণে সহায়তা করবে এস আলম গ্রুপ।

দীর্ঘদিন আগে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় অবস্থিত ইস্টার্ন রিফাইনারি দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ শুরু করতে চাইলেও প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছিল না। গত অক্টোবরে দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণ করতে চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে একটি প্রস্তাব পাঠায় এস আলম গ্রুপ। গত ২৯ জানুয়ারি জ্বালানি মন্ত্রণালয়েও একটি খসড়া চিঠি পাঠায় গ্রুপটি। এরপর গত ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি) একটি চিঠি পাঠিয়ে এস আলম গ্রুপের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে দ্বিতীয় ইউনিট নির্মাণের সিদ্ধান্ত জানায় জ্বালানি মন্ত্রণালয়।

‘মানব পাচারের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি কক্সবাজার ময়মনসিংহ ও যশোরে’ বণিক বার্তার শিরোনাম। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ ও যশোর মানব পাচারের হটস্পট হয়ে উঠেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

দেশে মানব পাচার প্রতিরোধের চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে আগামী দুই বছরের কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে সরকার। সরকারি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,, কক্সবাজার, ময়মনসিংহ এবং যশোর জেলা মানব পাচারের হটস্পট হয়ে উঠেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নারী ও শিশু পাচারের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটে যশোর সীমান্তে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনীর কাছে যশোরের শার্শা উপজেলার একাধিক চোরাচালান সিন্ডিকেটের তথ্য রয়েছে। উপজেলার বাহাদুরপুর, পুটখালী ও বেনাপোল ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম একেবারে সীমান্ত ঘেঁষা। এখান দিয়ে স্বর্ণ, অস্ত্র, গরু, বিস্ফোরক ও মানব পাচার করা হয়।

যশোরের পাশাপাশি কক্সবাজারের টেকনাফকেন্দ্রিক দুটি চক্রের তথ্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে রয়েছে। সেখানে মূলত জল সীমান্ত ব্যবহার করে পাচারের ঘটনা ঘটে। ময়মনসিংহ থেকে সোমেশ্বরী নদী পেরিয়ে ভারতের মেঘালয়ে মানব পাচারের কয়েকটি চক্রের তথ্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে রয়েছে।

যুগান্তরের আরেকটি শিরোনাম ‘পাকিস্তানে ভোট ডাকাতি: কারচুপির দায় স্বীকার করে ডিসির পদত্যাগ’। খবরে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানের সবচেয়ে প্রভাবশালী প্রদেশ পাঞ্জাবের রাওয়ালপিন্ডিতেই জোর করে ফেল করানো হয়েছে পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের। শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে সে কথাই বললেন রাওয়ালপিন্ডির ডিসি (কমিশনার) লিয়াকত আলী চাট্টা।

ভোট গণনায় কারচুপি হয়েছে স্বীকার করে লিয়াকত আলী বলেন, যেসব প্রার্থী ৭০ হাজার ভোটে জয়ের পথে ছিলেন আমরা তাদের ৫০ হাজার ভোটে নামিয়ে হারিয়ে দিয়েছি। আরও বললেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং প্রধান বিচারপতিও এর সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে জড়িত ছিলেন। শনিবার এ অভিযোগ স্বীকার করে পদত্যাগও করেন তিনি।

এর ঘণ্টা কয়েক পরই গ্রেফতার। তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে তা গোপন রাখা হয়েছে। ডিসির এ ঘোষণায় স্বভাবতই বেকায়দায় পড়ে গেছে দেশটির সরকার। বিশেষ করে ‘সেনাগালিচায়’ সরকারের তখতে হেঁটে যাওয়া পিএমএল-এন ও পিপিপি জোট।

আজকের পত্রিকার শিরোনাম ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষা: ১০ বছরে স্রোত দ্বিগুণ’। খবরে বলা হচ্ছে, দেশে সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বছর বছর বাড়ছে। তবে তাতেও উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যাওয়া কমছে না। বরং গত ১০ বছরে বিদেশগামী শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।

শিক্ষাবিদেরা বলছেন, মানের দিক দিয়ে দেশের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রমাগত পিছিয়ে পড়া, কর্মসংস্থানের সীমিত সুযোগ, ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা, জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণেই মূলত শিক্ষার্থীরা বিদেশমুখী হচ্ছেন। এ ছাড়া বিদেশে মানসম্মত শিক্ষার পাশাপাশি বৃত্তি ও খণ্ডকালীন চাকরির সুযোগসহ ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা শিক্ষার্থীদের দেশ ছাড়তে উদ্বুদ্ধ করছে।

দেশের প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের নীতি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সরকার গত কয়েক মেয়াদে বেশির ভাগ জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছে। বর্তমানে দেশে ৫৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১১৪টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। ইউজিসির তথ্যমতে, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পড়াশোনা করছেন প্রায় ৪৮ লাখ শিক্ষার্থী।

‘বেপরোয়া ছাত্রলীগকে রোখা যাচ্ছে না’ সমকালের প্রধান শিরোনাম। খবরটিতে বলা হচ্ছে, শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি- এই মূলনীতি থেকে অনেকটাই পথভ্রষ্ট ছাত্রলীগ। দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনটির সমালোচনা আর বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সিট বাণিজ্য ও ক্ষমতার দাপট দেখাতে গিয়ে আবারও আলোচনার খাতা খুলেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠনটি।

সাম্প্রতিক সময়ে প্রভাব বিস্তার নিয়ে ক্যাম্পাসে- ক্যাম্পাসে সংঘাতে জড়াচ্ছেন নেতাকর্মীরা। সর্বশেষ তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে এক গ্রুপ আরেক গ্রুপের ওপর অস্ত্রশস্ত্রসহ ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা গেছে। ফলে অশান্ত হয়ে উঠেছে অন্তত তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

এর মধ্যে সবচেয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি)। সেখানে চায়ের দোকানে বসা নিয়ে ছাত্রলীগের তিন গ্রুপের নেতাকর্মীরা টানা তিন দিন সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। আহত হয়েছেন পুলিশসহ ৭০-৮০ নেতাকর্মী। গতকাল শনিবার পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত ছিল। চবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

‘ভোটের ফাঁদে বিসিএস রোডম্যাপ’ দেশ রূপান্তরের শিরোনাম। খবরে বলা হচ্ছে, দেশজুড়ে বেকারদের হাহাকার। প্রথম শ্রেণির তো দূরে থাক, নিচের দিকের একটি পদেও চাকরি পেতে দিনের পর দিন অপেক্ষা। এটা একদিকের চিত্র।

অন্যদিকের চিত্র হচ্ছে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে শূন্যপদের সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়েছে- ই- তা তা পূরণ করার সংস্থান নেই। যদিও এ সংখ্যা দিয়ে বেকার সমস্যার গভীরতার তল পাওয়া যায় না। চাকরি নেই তো পকেটে টাকাও নেই, গুরুত্বহীন হয়ে যেতে হয় জীবন-সংসারে।

এমন পরিস্থিতিতে সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) বছরে একটি বিসিএস শেষ করার ঘোষণা ছিল চমকপ্রদ। কারণ এখনো একটি বিসিএস আয়োজনে লেগে যায় তিন বছর। কিছুদিন আগে সেটা চার বছরে পৌঁছে ছিল। এরই মধ্যে ফি বছর একটি করে বিসিএসের ঘোষণা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও বেকারদের মধ্যে আলোড়ন তুলেছিল। এ ক্ষেত্রে বাতিঘর হিসেবে কাজ করেছিলেন পিএসসির বর্তমান চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন।

কিন্তু বছরে একটি বিসিএস শেষ করার সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারলেন না তিনি। পুরো বিষয়টি শুরুতেই হোঁচট খেল। শুরু বলতে প্রিলিমিনারিতে। পিএসসি ঠিক করেছিল ৪৬তম বিসিএস এর সব ধাপের কার্যক্রম এক বছরে শেষ করবে। সে অনুযায়ী রোডম্যাপও করা হয়েছে।

যার ধারাবাহিকতায় প্রিলিমিনারি পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ মার্চ। কিন্তু বাদ সাধল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তারা ওই তারিখে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণের তফসিল ঘোষণা করেছে। ভোটের দিন তো আর কোনো পাবলিক পরীক্ষা ও হতে পারে না।

নিউ এজের প্রধান শিরোনাম ‘Govt foreign debt trebles to $62.4b in 14 years’. খবরে বলা হয়েছে, ২০২৩ অর্থবছরে সরকারের বিদেশী ঋণের পরিমান ৬২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। গত ১৪ বছরে বিদেশী ঋণ তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। ডলারের চলমান ঘাটতির মধ্যে এই ঋণ সেবার উপর চাপ সৃষ্টি করেছে ।

২০০৯-১০ অর্থবছরে সরকারের বিদেশী ঋণের পরিমাণ ছিলো ২০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। বিশ্বব্যাংক, এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক ও জাপানের পাশাপাশি চীন, রাশিয়া ও ভারতও ঋণদাতা দেশের তালিকায় নতুন করে করে যুক্ত হয়েছে। মোট ঋণের ৭৫ শতাংশই এসব দেশ ও সংস্থা থেকে নেওয়া।

‘বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার:পদোন্নতি ‘বঞ্চনা’ নিয়ে অসন্তোষ চরমে’। দৈনিক সংবাদের এই খবরে বলা হচ্ছে, বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে পদোন্নতি ‘বঞ্চনা’ নিয়ে অসন্তোষ চরমে। জ্যেষ্ঠ শিক্ষকদের বাদ দিয়ে কনিষ্ঠ শিক্ষকদের পদোন্নতি দেয়া, এক বিষয়ের শিক্ষককে অন্য বিষয়ে পদোন্নতি দেয়া ও পদ শূন্য থাকা সত্ত্বেও পদোন্নতি না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

প্রায় ১২ বছর অপেক্ষার পর গত ব ১৫ ফেব্রুয়ারি ৭১১ জন প্রভাষককে ব সহকারী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন। তারা বিসিএস ২৮, ২৯, ৩০, ৩২, ৩৩ ও ৩৪তম ব্যাচের কর্মকর্তা। এসব ব্যাচের আরো প্রায় দুই হাজার তিন শ শিক্ষা ক্যাডার পদোন্নতি বঞ্চিত রয়েছেন। অথচ একই ব্যাচে নিয়োগ পাওয়া বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা ইতোমধ্যে একাধিক পদোন্নতি পেয়েছেন বলে শিক্ষা সমিতির দাবি। – বিবিসি বাংলা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *