কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও মোসাদপ্রধানের সঙ্গে গাজার যুদ্ধবিরতি নিয়ে আবারো বৈঠক করবেন সিআইয়ের পরিচালক

আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্য সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

সাঈদ চৌধুরী

সিআইএ পরিচালক বিল বার্নস ইসরায়িলি জিম্মিদের মুক্তি এবং গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করার প্রয়াসে কাতারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আসসানি ও ইসরায়েলের মোসাদ প্রধান ডেভিড বারনিয়ার সাথে বৈঠকের জন্য শীঘ্রই ইউরোপ ভ্রমণ করবেন বলে জানা গেছে।

গাজায় একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তি নিয়ে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা দুই সপ্তাহ আগে কায়রো এবং দোহায় কয়েক দিনের আলোচনার পরে ভণ্ডুল হয়ে যায়। আমেরিকান, কাতারি ও মিসরীয় প্রস্তাবে হামাস রাজি হওয়া সত্ত্বেও ইসরাইলের অনীহার কারণে তা সফল হয়নি। সে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর এটিই হবে প্রথম উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা।

বাম থেকে সিআইএ পরিচালক উইলিয়াম বার্নস, মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া, মিশরীয় জেনারেল ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরেটের প্রধান আব্বাস কামেল, কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান আল সানি

ডেভিড বার্নস ইউরোপে কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও ইসরায়েলের মোসাদ প্রধানের সাথে দেখা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। নতুন এই উদ্যোগে মিসরের গোয়েন্দাপ্রধান আব্বাস কামাল অংশ নেবেন কিনা তা অস্পষ্ট। অতীতে এসব আলোচনায় তিনিও থাকতেন।

মিসরের ভূমিকা নিয়ে ইসরায়েল সংশয় প্রকাশ করায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে আলোচনা থেকে বের হয়ে যাওয়ার হুমকিও দিয়েছে। তবে একজন মার্কিন কর্মকর্তা মিডিয়াকে বলেছেন, কাতার এবং ইসরায়েলিদের সাথে মিসরও এই প্রক্রিয়ায় থাকবে।

সুত্র মতে, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, সিআইএ পরিচালক বিল বার্নস, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এবং অন্যান্য ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তারা হামাসের হাতে জিম্মিদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর প্রচেষ্টায় ব্যক্তিগতভাবে জড়িত ছিলেন।

হোয়াইট হাউস এই জিম্মি চুক্তিকে গাজায় যুদ্ধবিরতির একমাত্র কার্যকর পথ হিসাবে দেখে। সম্ভবত এমন একটি চুক্তি যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে। এই যুদ্ধ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে বাইডেনের জন্য রাজনৈতিক সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

ইসরায়েলি মিডিয়ার খবরে বলা হয়, দেশটির যুদ্ধ মন্ত্রিসভা বুধবার ইসরায়েলি আলোচনা দলের ম্যান্ডেট সম্প্রসারণের অনুমোদন দিয়েছে। নতুন ইসরায়েলি প্রস্তাবে চুক্তির প্রথম পর্যায়ে মানবিক ভিত্তিতে মুক্তি দেওয়া জীবিত জিম্মিদের সংখ্যার বিষয়ে আরও আপস করার ইচ্ছার কথা ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

কায়রোতে শেষ রাউন্ডের আলোচনা চলাকালীন চুক্তির প্রথম ধাপে হামাস জীবিত জিম্মিদের মধ্যে ৩৩ জন মহিলা, মহিলা সৈন্য, ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষ এবং গুরুতর অসুস্থ বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। দ্বিতীয় ধাপে বাকি বন্দী এবং স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা আর তৃতীয় পর্যায়ে হামাসের হাতে থাকা মৃত বন্দীদের ফেরতের প্রস্তাব ছিল।

কান পাবলিক ব্রডকাস্ট জানায়, ইসরাইলি আলোচক দলের সদস্য সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল নিটজান অ্যালন মন্ত্রিসভার বৈঠকে একটি যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা পেশ করেছিলেন। কিন্তু নেতানিয়াহু তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। কানকে একটি সূত্র জানিয়েছে, আলোচকেরা যা চেয়েছিলেন তার সবটুকু পাননি। তবে আলোচনা অব্যাহত রাখার অনুমতি পেয়েছেন। সূত্র: অক্সিও ডটকম, টাইমস অব ইসরাইল ও অন্যান্য

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *