কালজয়ী কবিতার স্রষ্টা আল মাহমুদের সেজো ছেলে মীর মো. তারিকের জন্য পবিত্র কোরআন খতম ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আল-মাহমুদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সময় সম্পাদক সাঈদ চৌধুরী কর্তৃক লন্ডনের সেভেন কিং এলাকার গ্রীনলেন সংলগ্ন মসজিদে আয়োজিত মোনাজাত অনুষ্ঠানে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি অংশ গ্রহন করেন।
দেশ বরেণ্য কবির সন্তান মীর তারিকের রূহের মাগফিরাত এবং শোক সন্তপ্ত পরিবার-পরিজনদের ধৈর্য্য ধারণের তাওফিক কামনা করে মহান আল্লাহর নিকট মোনাজাত করা হয়। পবিত্র কোরআন খতম করেন হাফিজ আব্দুল হালিম, হাফিজ সাঈদ চৌধুরী ও ক্বারী রাইয়ান চৌধুরী।
কবি আল মাহমুদের ছেলে মীর তারিক শুক্রবার (১০ মে ২০২৪) সকাল সোয়া ১০টায় রাজধানী ঢাকার বনশ্রীতে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৭ বছর। সেদিনই বাদ মাগরিব বনশ্রী কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জানাজা শেষে আজিমপুর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। পরিবার-পরিজন-সহ কবির অনেক গুণগ্রাহী জানাজায় অংশ নিয়েছেন।
আল মাহমুদ ছিলেন একাধারে কবি, সাংবাদিক. ঔপন্যাসিক, ছোটগল্প লেখক, প্রাবন্ধিক ও শিশুসাহিত্যিক। মহান মাবুদের কাছে তিনি প্রত্যাশা করেছিলেন কোন শুভ শুক্রবারে বিদায় নিতে। কবির সে প্রত্যাশা পূর্ণ হয়েছিল। ২০১৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাত ১১টায় ইন্তেকাল করেন আধুনিক বাংলা সাহিত্যের এই বরেণ্য ব্যক্তিত্ব।
স্মৃতির মেঘলাভোরে’ কবিতায় আল মাহমুদ লিখেন- কোনো এক ভোরবেলা, রাত্রিশেষে শুভ শুক্রবারে/ মৃত্যুর ফেরেস্তা এসে যদি দেয় যাওয়ার তাকিদ;/ অপ্রস্তুত এলোমেলো এ গৃহের আলো অন্ধকারে/ ভালোমন্দ যা ঘটুক মেনে নেবো এ আমার ঈদ।/ … আমার যাওয়ার কালে খোলা থাক জানালা দুয়ার/ যদি হয় ভোরবেলা স্বপ্নাচ্ছন্ন শুভ শুক্রবার।
বিস্ময়কর ভাবে কবির ছেলে মীর তারিকও শুক্রবার দিনে মারা গেলেন। তারও আগে ২০২২ সালের ২১ মে শুক্রবার (বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত) ইন্তেকাল করেন আল মাহমুদের বড় ছেলে সংবাদিক মীর শরীফ মাহমুদ।
কবি আল মাহমুদের পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ে সন্তানের মধ্যে দু’জন চলে গেলেন মহান মাবুদের দরবারে।