গাজা উপত্যকায় ক্রমবর্ধমান ইসরাইলি নির্মমতা, বিমান হামলা এবং উদ্ভূত মানবিক সঙ্কটে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলমানদের মধ্যে ক্ষোভ এবং বেদনার আগুন জলছে। শুক্রবার মার্কিন মসজিদগুলিতে বিশেষত ওয়াশিংটন ডিসিতে আফ্রিকান আমেরিকান, মিনিয়াপলিসে সোমালি উদ্বাস্তুরা, মেরিল্যান্ডে ইন্দোনেশিয়ান অভিবাসীগণ এবং লস অ্যাঞ্জেলসের সিরিয়ান আমেরিকান গোষ্ঠিসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসলমানেরা তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন।
গাজায় ক্রমবর্ধমান গণহত্যার বিরুদ্ধে আমেরিকান মুসলিম কমিউনিটি ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত। জুম্মার নামাজের খুতবাতে ইমামরা ফিলিস্তিনিদের উপর নিপিড়নের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের প্রতিবাদ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শহরগুলিতে মুসলিমদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং আরও কিছু সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। মেরিল্যান্ডের সিলভার স্প্রিং এ ইন্দোনেশিয়ান মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনে খুতবা দেওয়ার সময় ইমাম আবদুসসামাদ মাদাদ বলেন, ‘এই দিনগুলিতে যে ঘটনাগুলি ঘটছে তা কেবল পৃথিবীর একটি ছোট জায়গায় আমাদের মুসলমান ভাই ও বোনদেরকেই প্রভাবিত করছে না, বরং আমাদের প্রত্যেককে প্রভাবিত করছে।’
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, বর্তমান সংঘাতে কমপক্ষে ১ হাজার ৯শ’ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
লস অ্যাঞ্জেলেসে সিরীয় বংশোদ্ভূত ডাক্তার সালেহ খোলাকি বলেন, ‘তাদেরকে হাজারে হাজারে হত্যা করা হচ্ছে এবং বিশ্ব তাদের বাঁচাতে এগিয়ে যাচ্ছে না।’
মিনিয়াপলিসে মিনেসোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মুসলিম স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন’ দ্বারা আয়োজিত শুক্রবারের বিকেলের সমাবেশে স্নাতকের ছাত্র তাহের হেরজাল্লাহ গাজায় বোমা হামলার অভিযানকে নিজেদের চোখের সামনে উন্মোচিত গণহত্যা বলে উল্লেখ করেছেন এবং তরুণ মুসলমানদের সামনের দিনগুলোতে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
হরজাল্লাহ ইসরায়েলকে ফিলিস্তিন সংঘাতের প্রধান আগ্রাসনকারী অভিহিত করে বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সমর্থন করার কারণে মুসলমানদের হত্যার দোষে দোষী।