ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রায়িসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আবদুল্লাহিয়ান-সহ অন্যান্যদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পার্বত্য এলাকায় হেলিপকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে তারা ইন্তেকাল করেছেন।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া প্রেসিডেন্ট রায়িসির জন্য পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন।
রোববার ভোরে আজারবাইজান সীমান্তে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সাথে একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন রায়িসি। আরাস নদীর উপর দুই দেশের নির্মিত তৃতীয় বাঁধ এটি। সেখান থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
পার্বত্য এলাকায় বহু তল্লাশির পর হেলিকপ্টারটি শনাক্ত করেন উদ্ধারকারীরা। ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় পর সোমবার সকালে একটি ড্রোন ফুটেজে দেখা যায় হেলিকপ্টারটি পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে। এরপরই উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান।
ইরানের রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রধান পীর হোসেইন কোলিভান্দ গণমাধ্যমকে বলেন, সোমবার সূর্য ওঠার পর উদ্ধারকারীরা প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে হেলিকপ্টারটি দেখতে পান। পরে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী শহর জোলফার ভ্রমণ করছিলেন রায়িসি।
সোমবার সকালে তুর্কি কর্তৃপক্ষ একটি ড্রোন ফুটেজ প্রকাশ করে। এতে জঙ্গলে আগুন দেখা গেছে। এটি হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ বলে মনে হয়েছে। আজারবাইজান-ইরান সীমান্তের প্রায় ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) দক্ষিণে একটি খাড়া পাহাড়ের পাশে ঘটনাটি ঘটেছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত মন্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ভাহিদি বলেন, প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীরা কয়েকটি হেলিকপ্টারে করে ফিরছিলেন কিন্তু খারাপ আবহাওয়া ও কুয়াশার কারণে একটি হেলিকপ্টার জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
দুর্ঘটনার পর দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি বলেছেন, ইরানের সংবিধান অনুযায়ী ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট দায়িত্ব নেবেন। ৫০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন করা হবে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার এরই মধ্যে দেশটির কর্মকর্তা ও বিদেশী সরকারের কাছ থেকে ফোন পেয়েছেন।