ইরাকে নতুন প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী

আন্তর্জাতিক সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

গত বছরের অক্টোবরে জাতীয় নির্বাচনের পর এক বছরের অচলাবস্থার অবসান ঘটলো ইরাকে। কুর্দি রাজনীতিবিদ আবদুল লতিফ রশিদকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছে ইরাকের পার্লামেন্ট। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর তাৎক্ষণিক মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানীকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করেছেন নতুন রাষ্ট্রপতি।

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) ইরাকের পার্লামেন্টে দুই দফা ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

সাম্প্রদায়িক সংঘাত এড়াতে রাষ্ট্রপতির পদটি ইরাকে ঐতিহ্যগতভাবে একজন কুর্দির দখলেই থাকে, প্রধানমন্ত্রী হন শিয়া ও পার্লামেন্ট স্পিকার সুন্নি। তবে লতিফ রশিদকে নির্বাচিত করা নতুন সরকার গঠনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যে কাজটি গত বছর অনুষ্ঠিত নির্বাচনের পর থেকে করতে ব্যর্থ হয়েছেন রাজনীতিবিদরা।

৭৮ বছর বয়সী রশিদ এখন আরেক কুর্দি রাজনীতিবীদ ও প্রেসিডেন্ট বারহাম সালেহের স্থলাভিষিক্ত হবেন। নির্বাচনে দুই দফা ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে আবদুল রশিদ পেয়েছেন ১৬০ ভোট, বারহাম সালেহ পেয়েছেন ৯৯ ভোট।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ব্রিটেনে পড়াশোনা করা ৭৮ বছর বয়সী প্রকৌশলী রাশিদ ২০০৩ থেকে ২০১০ পর্যন্ত ইরাকের পানিসম্পদ মন্ত্রী ছিলেন।

ইরাকের পার্লামেন্টে ইরান সমর্থিত শিয়াদের বৃহত্তম রাজনৈতিক জোটের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী পদে আল–সুদানিকে মনোনীত করা হয়েছে। তবে তিনি দেশটির প্রভাবশালী শিয়া নেতা মুক্তাদার আল–সদরের সমর্থন পাবেন না বলে মনে করা হচ্ছে। গত অক্টোবরের পার্লামেন্ট নির্বাচনে আল–সদরের নেতৃত্বাধীন জোট ভালো ফল করেছিল।প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আল-সুদানিকে এখন পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে নতুন সরকার গঠন করতে হবে। পাশাপাশি তাকে ইরাকের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে।

ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলে আল–সুদানির জন্ম ১৯৭০ সালে। মাত্র ১০ বছর বয়সে বাবাকে হারান তিনি। সাদ্দাম হোসেনের আমলে ইরান সমর্থিত ইসলামিক দাওয়া পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আল–সুদানির বাবাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল।

পরবর্তীতে সাদ্দাম হোসেনের পতনের উদ্দেশে শিয়া বিদ্রোহে যোগ দেন আল–সুদানি। তিনি ছিলেন সাদ্দামের ঘোর বিরোধী। সেইসময় অনেকে দেশ ছেড়ে পালালেও ইরাকেই থেকে যান আল-সুদানি।

সুদানির রাজনৈতিক উত্থান ঘটে ২০০৩ সালে যখন ইরাকে মার্কিন বাহিনী হামলা চালায়। সাদ্দামের পতনের পর তিনি স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় সরকারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

আল–সুদানি ২০০৪ সালে ইরাকের আমারাহ শহরের মেয়র ছিলেন। পরে তিনি নিজ প্রদেশ মায়সানের গভর্নর হন। ইরাকের নুরি আল–মালিকি ও হায়দার আল–আবাদি সরকারে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মন্ত্রণালয় সামলেছেন আল–সুদানি। ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইরাকের মানবাধিকার বিষয়ক মন্ত্রী এবং ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত শ্রম ও সামাজ কল্যাণবিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন তিনি।

আরও পড়ুন
কোথাও আগুন লাগলে সতর্কতার জন্য যা করবেন, যা করবেন না
আগুনে পুড়লে মৃত ব্যক্তির মর্যাদা ও আগুন লাগলে যে দোয়া পড়বেন
দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স; প্রয়োজন সতর্কতা
দেহকে সুস্থ রাখবে অ্যালোভেরা
বসন্তের বাতাসে অ্যালার্জির প্রবণতা, একটু গাফিলতি হলেই মারাত্মক বিপদ
রাসূল সা: প্রবর্তিত খাদ্যবিজ্ঞান । ডা: মো: তৌহিদ হোসাইন
তরমুজের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
যে খাবারে শিশুর উচ্চতা বাড়ে
ইন্ডাস্ট্রির সকলের স্বার্থে কপিরাইটের প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছিঃ ফাহিম ফয়সাল
অতিরিক্ত আবেগ মনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে
আক্ষেপ প্রকাশ করলেন ‘ছুটির ঘণ্টা’র নির্মাতার মেয়ে বিন্দি
ওজন কমাতে সাহায্য করে যে সকল খাবার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *