নজরুলসঙ্গীত শিল্পী, সংগঠক, গবেষক ও সঙ্গীত প্রশিক্ষক সুজিত মোস্তফা। যিনি নজরুলের গানের শুদ্ধচর্চা, বিকাশ ও সুরেরধারা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে জ্বালিয়ে রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সাম্প্রতিক নানা বিষয় নিয়ে নিজের ফেসবুকে ভাবনার কথা বলেন গুণী এ শিল্পী।
২৮ জুলাই, বৃহস্পতিবার সুজিত মোস্তফা তার ফেসবুক আইডিতে গানের কিছু বিষয় নিয়ে তার বক্তব্যে তুলে ধরেছেন। নিন্মে যা হুবহু পাঠকের জন্য তুলে ধরেছে ‘সময়’।
পারফেক্ট সুরে গান গাওয়া পৃথিবীর কঠিনতম কাজের একটি। বহু বড় বড় সঙ্গীত শিল্পী আছেন যাদের অনেকেরই ব্যাপক সুরবিচ্যুতি ঘটেছে। অনেক সময়ই অনেক সক্ষম শিল্পীরও শারীরিক অবস্থা, মুড ইত্যাদির কারণে সুরের ব্যত্যয় ঘটে যায়। যাদের গলায় ব্যাপক সুরের অভাব আছে অথচ গান করার প্রবল আগ্রহ তারা কষ্ট করে নিজেকে তৈরি করে প্রকাশ্যে আসুন, তাতে হাসাহাসির পাত্র হতে হবে না। তবে সমাজটা এমনই পাল্টে গেছে যে, অল্প যা কিছু সুরেলা পারফর্মেন্স আমরা পাই সেগুলো বেশি বেশি শোনা বা সেগুলো নিয়ে ইতিবাচক প্রপাগান্ডা না করে আমরা হাস্যকর পরিবেশনাগুলো নিয়ে আমোদও পাই, সমালোচনামূখরও হই এবং আইন করে কারো কারো গান গাইবার অধিকারও হরণ করি।তিনি আরও লেখেন, আমি যেমন কাজী সাহেবের গানে প্রাণ সঞ্চারের জন্য কিছু ইমপ্রোভাইজেশন করি যা অনেক বিখ্যাত শিল্পীরই করার উদাহরণ আছে। একদল সঙ্গীতকর্মী সে জন্য আমার বিরুদ্ধে সোচ্চার। বলা যায় না আমাকেও হয়তো আইনী নোটিশ দেয়া হবে যে নজরুলের গানে বা অন্য যে কারো গানে আলাদা করে ইমপ্রোভাইজ করে প্রাণ সঞ্চার করে গাওয়া যাবে না। অথচ সঙ্গীতের মূল আনন্দের জায়গাই হলো আপনার শিল্পবোধ এবং সক্ষমতা দিয়ে আপনি সেটিকে কতটা রাঙ্গিয়ে তুলতে পারলেন। এখন গান গাইতে গেলে আপনাকে যদি পুলিশী নিয়মের বেড়াজালে আটকা পড়তে হয়, তাহলে গান না গাওয়াইতো উত্তম। বস্তুত একই গান একই শিল্পী দু’বার গাইলে দু’রকম হয়ে যায়। বিষয়টাতো শিল্প। এখন যারা এই শিল্প না বুঝে প্রচারের আলোয় আসবার জন্য বা তাদের ভালোবাসা থেকেও যদি কাজটি করেন তাহলে আপনি আপনার রিমোট কন্ট্রোলটি ব্যবহার করুন। সেটিকে না দেখে, না শুনে, শেয়ার না করে আপনি কোয়ালিটিসম্পন্ন কিছুতে মনোনিবেশ করুন।
সুজিত মোস্তফা তার স্ট্যাটাসে আরও লেখেন, একটি সমাজ কিছু স্বাভাবিক প্রচলিত নিয়ম মেনে চলে। সেই নিয়মের মধ্যে থেকেও অনেকে নতুন কিছু চেষ্টা করেন। পরিমিতির বাইরে কিছু গেলেই আমরা ভয়াবহ আক্রমণ শুরু করি। অথচ এই পরিমিতি ভাঙা নতুন অনেক কিছুই পরে স্বাভাবিক নিয়ম হয়ে যায়। এভাবেই সমাজে অ্যাসিমিলেশন বা আত্মীকরণ ঘটে। সময় নির্ধারণ করে দেয় কোনটি টিকবে আর কোনটি টিকবে না। আমরা যেভাবে পচা জিনিষগুলোকে ভাইরাল করি সেগুলোর প্রতি মানুষের তীব্র আকর্ষণই সম্ভবত তৈরি হয় এবং সেগুলোই হয়তো ট্রেন্ড হয়ে দাঁড়ায়। আসলে আমাদের সর্বসাধারণের দায়িত্ব হলো কোয়ালিটি বিষয়গুলো চিহ্নিত করতে শিখে সেগুলোকে প্রচারের আলোয় আনা, সেগুলোর ভালোমন্দ আলোচনা করা। সম্মিলিত শুভ চেতনা, শুভবুদ্ধি প্রয়োগের মাধ্যমে সুস্থ সাংষ্কৃতিক বিকাশে আমাদের আরো অনেক বেশি সক্রিয় হতে হবে, কারো গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করে আমরা শুদ্ধ ও সুন্দরের দাবীদাররাও একসময় সেই পুলিসিং এর আওতায় পড়ে যেতে পারি।
আরও পড়ুন
কোথাও আগুন লাগলে সতর্কতার জন্য যা করবেন, যা করবেন না
আগুনে পুড়লে মৃত ব্যক্তির মর্যাদা ও আগুন লাগলে যে দোয়া পড়বেন
দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স; প্রয়োজন সতর্কতা
দেহকে সুস্থ রাখবে অ্যালোভেরা
বসন্তের বাতাসে অ্যালার্জির প্রবণতা, একটু গাফিলতি হলেই মারাত্মক বিপদ
রাসূল সা: প্রবর্তিত খাদ্যবিজ্ঞান । ডা: মো: তৌহিদ হোসাইন
তরমুজের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
যে খাবারে শিশুর উচ্চতা বাড়ে
ইন্ডাস্ট্রির সকলের স্বার্থে কপিরাইটের প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছিঃ ফাহিম ফয়সাল
অতিরিক্ত আবেগ মনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে
আক্ষেপ প্রকাশ করলেন ‘ছুটির ঘণ্টা’র নির্মাতার মেয়ে বিন্দি
ওজন কমাতে সাহায্য করে যে সকল খাবার