সিরাজগঞ্জের সবকটি উপজেলার ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি ও সম্মাননা সনদ প্রদান করেছে মানবকল্যাণমুখী প্রতিষ্ঠান খাজা মোজাম্মেল হক (র.) ফাউন্ডেশন। যা দেশব্যাপী কেএমআরএফ নামে সুপরিচিত।
গত ২ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার সকালে সিরাজগঞ্জ সোহাগপুর নতুনপাড়া আলহাজ সিদ্দিক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বেসরকারি পর্যায়ে বৃহৎ এ বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠিত হয়। উৎসবমুখর এ অনুষ্ঠানে জেলার শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অভিভাবক, আমন্ত্রিত অতিথি ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের পেশাজীবী মানুষের উপস্থিতিতে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও প্রধান অতিথি খাজা টিপু সুলতান ছাত্রছাত্রীর মাঝে বৃত্তি ও সম্মাননা সনদ প্রদান করেন।
এ সময় খাজা টিপু সুলতান বলেন, ‘২০ বছর ধরে আমরা ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি দিচ্ছি। কিন্তু করোনাকালীন বছরগুলোতে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি। এ বছর আবারও জমজমাট আয়োজনের মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করতে পারায় আমরাও আনন্দিত। এ বৃত্তি সিরাজগঞ্জের ছাত্রছাত্রীদের পড়ালেখায় ভালো করতে উৎসাহ জোগাবে।’
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সিরাজগঞ্জের স্থানীয় সরকারের সহকারী পরিচালক (উপসচিব) তোফাজ্জল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (বেলকুচি সার্কেল) আদনান মুস্তাফিজ। এ ছাড়াও সম্মানিত অতিথি ছিলেন সিরাজগঞ্জ বেলকুচির সহকারী কমিশনার (ভূমি) শিবানী সরকার, জেলা শিক্ষা অফিসার কাজি সলিম উল্লাহ ও বেলকুচি থানার ওসি মো. আসলাম হোসেন।
কেএমআরএফ ফাউন্ডেশনের অন্যতম প্রধান সমন্বয়কারী আরমান খান সংবাদমাধ্যমকে জানান, ২০০১ থেকে খাজা মোজাম্মেল হক (র.) ফাউন্ডেশন বৃত্তিপ্রদান কার্যক্রমের পাশাপাশি আরও ২টি মানবকল্যাণমূলক কার্যক্রম করে আসছে দেশজুড়ে। তার একটি হলো, অভিজ্ঞ ডাক্তারের সমন্বয়ে ঢাকার শ্যামলীতে ও শ্রীমঙ্গলের জান্নাতুল ফেরদৌস কমপ্লেক্সে। এই দুটি স্থানে বছরব্যাপী বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, খাজা শাহ ইউনুছ আলী এনায়েতপুরী (র.) এর নেছবতভুক্ত অসচ্ছল কর্মক্ষম ভক্তবৃন্দের মাঝে ‘ছাদকা-ই–জারিয়া’ হিসেবে এককালীন মূলধন প্রদান করা হয়। যা পরবর্তীতে ফেরত দিতে হয় না ফাউন্ডেশনকে। অনুদানপ্রাপ্তরা হালাল রুজিরোজগার করে জীবনে পরিবর্তন আনতে অনন্য ভূমিকা রাখে এই অনুদান।
অনুষ্ঠানের ‘মেধায় মাতি’ শিরোনামে মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতামূলক পর্ব সঞ্চালনা ও পরিচালনার দায়িত্বও পালন করেন বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের প্রধান সমন্বয়কারী আরমান খান।
এবছর সব উপজেলার ১১০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অষ্টম ও দশম শ্রেণির ৬২০ জন মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীকে বৃত্তি ও সম্মাননা দিয়েছে মানবকল্যানমূলক ফাউন্ডেশন ‘কেএমআরএফ’।