লন্ডনে প্রবাসী দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম বলেছেন, সারা বিশ্বে প্রায় ১৩ মিলিয়ন প্রবাসী আছেন। এরমধ্যে যুক্তরাজ্যে প্রায় ১ মিলিয়ন। এই প্রবাসীদের জন্য জাতীয় প্রবাসী দিবস ঘোষনা দেয়া হয়েছে। এজন্য তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনিম প্রবাসী দিবস ঘোষনায় বিশেষ ভূমিকা পালনের জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনকেও ধন্যবাদ জানান। এই দিবসের পক্ষে প্রচার তৎপরতার জন্য হাইকমিশনার প্রবাসী কল্যাণ পরিষদ নেতৃবৃন্দকেও অভিনন্দিত করেন।
উল্লেখ্য, এখন থেকে প্রতি বছরের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রবাসী দিবস (ন্যাশনাল এক্সপ্যাট্রিয়েটস ডে) উদযাপন করা হবে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। একইসাথে দিবসটি উদযাপনে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারি করা এ বিষয়ক পরিপত্রের ‘খ’ ক্রমিকে তা অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
গত ২৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার প্রেস ব্রিফিংয়ে এই অনুমোদনের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রবাসী দিবস উদযাপনে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। প্রতি বছর ৩০ ডিসেম্বর সরকারিভাবে এটি পালনে পদক্ষেপ নেয়া হলো। মন্ত্রিসভা জাতীয় প্রবাসী দিবস ঘোষণা করেছে। অভিবাসী দিবসের পাশাপাশি ৩০ ডিসেম্বর প্রবাসী দিবস। সারাদেশে এমনকি সারা পৃথিবীতে যেখানে প্রবাসী ভাই-বোনেরা রয়েছেন তাদের নিয়ে এ দিবসটি পালন করা হবে।’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এ দিবসে প্রবাসীদের জন্য আমরা কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করছি, সেই বিষয়গুলো প্রচার-প্রচারণা হবে। আমরা ইতোমধ্যে ২১টি অনলাইন সেবা চিহ্নিত করেছি। এই ২১টি সেবা প্রবাসীরা দূতাবাস বা মিশন থেকে নিতে পারবে। সেইসাথে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সুবিধাটা যদি থাকে। বিভিন্ন দেশের শ্রমিক হাবগুলোতে ডিজিটাল সার্ভিস করবো, সেখানে এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের সুবিধা থাকবে। যে ২১টি অনলাইন সেবা রয়েছে, সেগুলো কিভাবে দেয়া যায়, সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করব। কিছু নির্দেশনাও এসেছে।’