বৈদেশিক মুদ্রার চাপ সমলাতে ফের আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দ্বারস্থ হচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যে এর প্রাথমিক আলোচনাও শুরু হয়েছে। রেমিট্যান্স কমে আসার সঙ্গে সঙ্গে আমাদনি ব্যয় অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ায় টান পড়েছে রিজার্ভে। এর প্রভাবে ডলারের বিপরীতে দফায় দফায় টাকার মান কমিয়েও অস্থিরতা কাটছে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ৪১ দশমিক ৭ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ১৭০ কোটি ডলারে নেমে এসেছে। করোনার মধ্যে গত বছর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড উচ্চতায় উঠে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে এই ধারা কমে আসছে।
বর্তমানে যে পরিমাণ রিজার্ভ আছে তাতে ৫ থেকে সাড়ে ৫ মাসের আমদানির খরচ মেটানো সম্ভব। বিশ্লেষকদের মতে, অন্তত তিন মাসের আমদানি দায় মেটানোর রিজার্ভ না থাকলে সেক্ষেত্রে উদ্বেগ থেকে যায়। অর্থমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বাংলাদেশের এখনই উদ্বেগজন পর্যায়ে নেই। তবে সতর্কতার অংশ হিসেবে আইএমএফ এর ঋণ নেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। আগামী মাসে আইএমএফ এর এক প্রতিনিধি দলের ঢাকা আসার পরিকল্পনা রয়েছে। সে সময় নতুন করে ঋণ নেওয়ার বিষয়টি আলোচনা হবে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের অক্টোবরে, আইএমএফ সারাবিশ্বে করোনার সংকট মোকাবিলায় ১৯০টি সদস্য দেশের জন্য ৬৫০ বিলিয়ন ডলার সমমানের এসডিআর (স্পেশাল ডÌইং রাইটস) ঘোষণা করে। যার মধ্যে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দ ছিল ৩ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু সরকার ওই সময় এসডিআর নেয়নি। কারণ সে সময় বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ রেকর্ড উচ্চতায় ছিল। আমদানির চাহিদা কম থাকায় এবং রেকর্ড রেমিট্যান্স আসায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতের পরিমাণ ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করার পর শুরু হয় নতুন সংকট। ইউক্রেন যুদ্ধের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পায় জ্বালানি তেলের দাম। সারাবিশ্বে নিত্য পণ্যের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। এর প্রভাবে বাংলাদেশের আমদানি খরচও বাড়তে থাকে। অন্যদিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে আসছে। এর ফলে চাপ বেড়েছে রিজার্ভে।এদিকে আগামী সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে ২ বিলিয়ন ডলার দিতে হবে বাংলাদেশকে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে আসবে ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় অর্থ মন্ত্রণালয় আইএমএফ থেকে ঋণ নেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করছে বলে সংশ্লিষ্ট এক সূত্রে জানা যায়। তবে ঋণের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত অনেকটা নির্ভর করছে আইএমএফের দেওয়া শর্তের ওপর। আগের বার যখন আইএমএফ ঋণের প্রস্তাব দিয়েছিল তখন সঙ্গে ৩৩টি শর্ত জুড়ে দিয়েছিল, যার সবগুলোর সঙ্গে সরকার সম্মত ছিল না। এজন্য ঋণ গ্রহণের বিষয়টি আর এগোয়নি। বরাবরই আইএমএফ বাজেট ভর্তুকি কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়ে থাকে। তাছাড়া সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোসহ ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার শর্ত থাকে।
আরও পড়ুন
কোথাও আগুন লাগলে সতর্কতার জন্য যা করবেন, যা করবেন না
আগুনে পুড়লে মৃত ব্যক্তির মর্যাদা ও আগুন লাগলে যে দোয়া পড়বেন
দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স; প্রয়োজন সতর্কতা
দেহকে সুস্থ রাখবে অ্যালোভেরা
বসন্তের বাতাসে অ্যালার্জির প্রবণতা, একটু গাফিলতি হলেই মারাত্মক বিপদ
রাসূল সা: প্রবর্তিত খাদ্যবিজ্ঞান । ডা: মো: তৌহিদ হোসাইন
তরমুজের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
যে খাবারে শিশুর উচ্চতা বাড়ে
ইন্ডাস্ট্রির সকলের স্বার্থে কপিরাইটের প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছিঃ ফাহিম ফয়সাল
অতিরিক্ত আবেগ মনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে
আক্ষেপ প্রকাশ করলেন ‘ছুটির ঘণ্টা’র নির্মাতার মেয়ে বিন্দি
ওজন কমাতে সাহায্য করে যে সকল খাবার