কয়লার পর এবার রাশিয়া থেকে তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। আগামী ছয় মাসে পর্যায়ক্রমে এটি বাস্তবায়নের পরিকল্পনা চলছে। চলতি বছরের শেষ নাগাদ সেটি পরিপূর্ণ করার আহ্বান জানিয়েছে এই সংস্থা।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান বন্ধে রাশিয়ার ওপর চাপ বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন প্রস্তাবটি পাস হতে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনুমোদন লাগবে। ইইউ একইসঙ্গে রাশিয়ার অর্থোডক্স চার্চের প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করেছে।
ইইউ প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েন জানেন, রুশ তেল আমদানি বন্ধ করা সহজ হবে না। কারণ অনেক দেশ এর ওপর নির্ভরশীল। তাই তিনি বলেন, “একটি সুশৃঙ্খল পন্থায় যেন রুশ তেল আমদানি বন্ধ করা যায় আমরা সেটি নিশ্চিত করব। আমাদের অংশীদার দেশগুলোর জন্য বিকল্প সরবরাহের বিষয়টি মাথায় রেখে এগোবো আমরা।”
রাশিয়ার অর্থনীতি, সামরিক এবং প্রচারকে লক্ষ্য করে ইউরোপীয় সংসদে নিষেধাজ্ঞার ষষ্ঠ প্যাকেজের বিশদ বিবরণ দিয়েছেন ইইউ প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এতে তিনি সফল হবেন না বরং তার যুদ্ধের মনোভাব নিজের দেশকেই ডুবিয়ে দিচ্ছে।’