মৃতের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে তুরস্কে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এ ঘোষণা দেন। তিনি জানান, শুধুমাত্র তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ৫৪৯ এ দাঁড়িয়েছে।
তাইয়েপ এরদোয়ান আরও জানান, ভূমিকম্প দুর্যোগ অঞ্চলের মধ্যে ১০টি শহর রয়েছে এবং দেশটি বিশ্বের ৭০টি দেশ থেকে সাহায্যের প্রস্তাব পেয়েছে।
এছাড়া প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান আন্টালিয়ার হোটেলগুলোকে ভূমিকম্পে গৃহহীনদের জন্য জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করার ঘোষণা দিয়েছেন। তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে অবস্থিত এই রিসোর্টটি পুরো ইউরোপ জুড়ে ভ্রমণকারীদের জন্য একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র।
অপরদিকে সিরিয়া অংশে নিহতের সংখ্যা ১ হাজার ৬০০ ছাড়িয়েছে বলে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এখনো ধ্বংসস্তূপে হাজারো মানুষ আটকা পড়ে আছে। সব মিলিয়ে ৫ হাজারের বেশি ভবন ধসে পড়েছে। তুষারপাতের কারণে উদ্ধার কার্যক্রমও স্বাভাবিকভাবে চালানো যাচ্ছে না।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়েছে শত শত পরিবার। তাদের রক্ষা করার সময় ফুরিয়ে আসছে বলে মন্তব্য করেছেন সিরিয়ার সরকারবিরোধী অংশের পরিচালিত বেসামরিক প্রতিরক্ষা বিভাগের প্রধান রাদ আল-সালাহ। মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি এমনটাই বলেছেন।
তিনি আরও জানান, বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা উত্তর-পশ্চিম সিরিয়ায় হোয়াইট হেলমেটস নামে পরিচিত সংগঠনের উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য জরুরিভিত্তিতে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলোর কাছ থেকে সহায়তা প্রয়োজন।
রাদ আল-সালাহ বলেন, ‘প্রতিটা সেকেন্ড জীবন বাঁচানোর, আমরা প্রতিটি মানবিক সংস্থার প্রতি জরুরিভিত্তিতে এ বিপর্যয় মোকাবেলায় নামতে ও বস্তুগত সহায়তা দিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’
সোমবারের ওই ভূমিকম্প তুরস্কেও কয়েক হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, আস্ত অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক উপড়ে নিয়েছে, হাসপাতাল ধ্বংস করেছে, আহত ও গৃহহীন হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।
ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়াদের উদ্ধারে দুই দেশেই এখন সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে জোর তৎপরতা চলছে। তবে তীব্র ঠাণ্ডা উদ্ধারকাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কাও করছেন।