বছরের শেষের দিকে ভোট গ্রহণ করা যাবে : প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশ সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার জন্য নির্বাচন একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ভোট গ্রহণ করা যাবে। এ বছরের শেষের দিকে ভোট অনুষ্ঠানের প্রাথমিক সময় নির্ধারণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার ক্ষমতায় আসবে তাদের সঙ্গে কাজ করার ‘অত্যন্ত নিরাপদ ও দৃঢ়’ গণতান্ত্রিক ভিত্তি থাকবে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) জাপান সরকারের আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এনএইচকে ওয়ার্ল্ডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। কীভাবে তিনি বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের পরিকল্পনা করছেন এনএইচকে’র সঙ্গে কথা বলার সময় তা ড. ইউনূস তুলে ধরেন। এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশনে দেওয়া ভাষণে ড. ইউনূস বলেছিলেন, ২০২৫ সালের শেষ থেকে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যখন আমরা ক্ষমতায় এসেছিলাম, সেই সময়ের পরিস্থিতি বিবেচনায় আমি মনে করি আমরা অনেক দূর এগিয়ে এসেছি, কারণ এটি পুরোপুরি বিধ্বস্ত সমাজ, বিধ্বস্ত অর্থনীতি, বিধ্বস্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, সবকিছুই বিধ্বস্ত।’ এখন ‘নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে যে নতুন সরকার নির্বাচিত হবে, তাদের সঙ্গে কাজ করার জন্য খুব নিরাপদ ও দৃঢ় ভিত্তি থাকবে।’

এনএইচকের খবরে বলা হয়, শান্তিতে নোবেলজয়ী এই নেতা চান তার দেশ স্বনির্ভর ও আরও শক্তিশালী হবে। দেশের তরুণরাই আগামীতে প্রভাবশালী হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি। ড. ইউনূস বলেছেন, ‘তরুণরা চায়, তাদের সৃজনশীল শক্তি প্রদর্শন করতে এবং এটি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে। সুতরাং এই উচ্চাকাঙ্ক্ষাটাই আমাদের মনের মধ্যে রয়েছে এবং দেখুন আমরা কীভাবে এগিয়ে যাই।’

তিনি দেশটির সবচেয়ে বড় উন্নয়নশীল অংশীদার জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, তারা প্রযুক্তি ও বিনিয়োগের মাধ্যমে তরুণ বাংলাদেশিদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।

এনএইচকে বলছে, ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকার পর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের পতন হয়। অভ্যুত্থানের পর ইউনূস অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *