তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর নিহতের ঘটনায় ফ্রান্স জুড়ে তুমুল বিক্ষোভ চলছে। মঙ্গলবার এই ঘটনার পর থেকেই প্রতিবাদ শুরু হয়। ক্ষুব্ধ মানুষ প্যারিসের রাস্তায় ময়লা ফেলার বিনগুলিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। বাসেও আগুন লাগানো হয়। বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ২৪ জন পুলিশকর্মীর আহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এ বিক্ষোভ ফ্রান্সের অনেকগুলো শহরে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশটির পুলিশের একজন মুখপাত্র জানিয়েছে, উত্তরের শহর লিলে এবং দক্ষিণ-পশ্চিমে টুলুসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষও হয়েছে। এ ছাড়া প্যারিসের দক্ষিণে অ্যামিয়েন্স, ডিজন এবং এসোনের প্রশাসনিক বিভাগেও গোলযোগ দেখা গেছে। পুলিশ ইতিমধ্যে শতাধিকজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেরাল্ড ডারমানিন সাংবাদিকদের বলেছেন, ফ্রান্সজুড়ে আজ বৃহস্পতিবার ৪০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বিক্ষোভ সামাল দিতে গতকাল ৯ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।
প্যারিসের রাস্তায় গত মঙ্গলবার সকালে হলুদ মার্সিডিজ চালাচ্ছিলেন ১৭ বছরের নাহেল এম। ট্র্যাফিক আইন ভাঙার অভিযোগে পুলিশ তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে। পরে তার মুত্যু হয় বলে জানা গেছে। পুলিশ এ ঘটনা সম্পর্কে জানায়, ১৭ বছর বয়সী নাহেল এম পুলিশের এক অফিসারকে লক্ষ্য করে গাড়ি চালিয়ে দিয়েছিল। তাকে থামানোর জন্য গুলি চালানো হয়।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, গাড়ি থেমে আছে। দুই পুলিশকর্মী গাড়ির পাশে। একজন রিভলভার তাক করে আছে। একটা গলার আওয়াজ ভেসে আসে, মাথায় গুলি করব। এরপর গাড়ি নিয়ে নাহেল পালাতে গেলে পুলিশ গুলি চালায়। এতে তার মৃত্যু হয়।