মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আজ সোমবার এক আকস্মিক সফরে ইউক্রেনে গেছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাইডেনকে স্বাগত জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তিনি এই সফরের জন্য বাইডেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এদিকে কিয়েভে গিয়ে বাইডেন বলেছেন, পুতিন মনে করেছিলেন ইউক্রেন দুর্বল কিন্তু এটি পুরোপুরি ভুল।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, প্রায় এক বছর আগে পুতিন যখন ইউক্রেনে আগ্রাসন শুরু করেন, তখন তিনি ভেবেছিলেন ইউক্রেন দুর্বল এবং পশ্চিম বিভক্ত। তিনি আরও ভেবেছিলেন তিনি আমাদের ছাড়িয়ে যাবেন। কিন্তু তিনি পুরোপুরি ভুল।
এ ছাড়া বাইডেন ইউক্রেনের প্রতি তাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন। কিয়েভ সফরে তিনি ইউক্রেনের জন্য নতুন সামরিক সহায়তার প্যাকেজ ঘোষণা করেন।
বাইডেনের ইউক্রেন সফর নিয়ে হোয়াইট হাউজ এক বিবৃতি জারি করেছে। সেখানে বাইডেন বলেছেন, বিশ্ব যখন ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের এক বছর পূর্তি পালনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখন আজ আমি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসছি। বাইডেন আরও বলেন, আমি ইউক্রেনের গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি আমাদের অটল প্রতিশ্রুতি পুনর্নিশ্চিত করছি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিহত ইউক্রেনীয় সেনাদের স্মরণে তৈরি এক স্মৃতিস্তম্ভ পরিদর্শন করেন।
নিউ ইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট বাইডেন পোল্যান্ড থেকে ট্রেনে সীমান্ত পেরিয়ে ইউক্রেন সফরে যান। নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এই সফর বেশ গোপন রাখা হয়।
বিভিন্ন খবরে জানা যাচ্ছে, শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও তার স্ত্রী জিল এক রেস্টুরেন্টে রাতের খাবার খেতে গিয়েছিলেন। এরপর কোন পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই প্রেসিডেন্ট বাইডেন ওয়াশিংটন ত্যাগ করেন। পূর্ব ইউরোপ সফরের সময় প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইউক্রেনও সফর করতে পারেন, এমন কথা এর আগে মার্কিন কর্মকর্তারা অস্বীকার করেছিলেন।
নিউইয়র্ক টাইমস লিখেছে, ‘হোয়াইট হাউজ রবিবার রাতে প্রেসিডেন্টের যে কর্মসূচী প্রকাশ করে, তাতে দেখা যায় সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রেসিডেন্ট ওয়াশিংটনে থাকবেন, এরপর তিনি সন্ধ্যায় ওয়ারশ’র উদ্দেশে রওনা দেবেন। আসলে তিনি ততক্ষণে সেখানে চলে গেছেন।’