মস্কোজয়ী বাংলাদেশি চলচ্চিত্র ‘আদিম’ এবার নেপাল মানবাধিকার আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ১০ম আসরে পুরস্কার জিতে নিয়েছে।
গত ২১ ডিসেম্বর, বুধবার সন্ধ্যায় উৎসবের সমাপনী আয়োজনে এ বছরের সেরা সিনেমাগুলোর নাম ঘোষণা করা হয়। তখন জানানো হয়, আন্তর্জাতিক বিভাগে সেরা ফিচার ফিল্মের পুরস্কার অর্জন করে ‘আদিম’।
একই বিভাগে সেরা নন-ফিচার ফিল্ম নির্বাচিত হয়েছে লিরিস হার্মের ডকুফিল্ম ‘শেফার্ডস অন আর্থ’। এছাড়া রাশিয়ান সিনেমা ‘হেজা’কে দেওয়া হয় স্পেশাল মেনশন অ্যাওয়ার্ড।
গত ১৮ ডিসেম্বর নেপালের কাঠমান্ডুতে বসে এই চলচ্চিত্র উৎসবের আসর। যেখানে উৎসব আয়োজকদের আমন্ত্রণে উদ্বোধনী দিনেই উপস্থিত হন ‘আদিম’ নির্মাতা যুবরাজ শামীম। উৎসবের দ্বিতীয় দিনে ‘আদিম’ প্রদর্শন শেষে নির্মাতা অংশ নেন প্রশ্নোত্তর পর্বে।
নেপালে পুরস্কার জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে নির্মাতা যুবরাজ শামীম বলেন, মস্কোর পর আর কোনো উৎসবে ‘আদিম’ জমা দিইনি। মস্কোতে পুরস্কৃত হওয়া পর বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসব কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে আদিম’র ব্যাপারে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। যার ফলশ্রুতিতেই ইতালি ও আমেরিকার দুটি উৎসবে ‘আদিম’ প্রদর্শিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ‘আদিম’র কো প্রডিউসার প্রিয় ক্লিমেনটিনে এডারভিন নেপালের ‘হিউম্যান রাইটস আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’র কথা বললেন। ফেস্টিভ্যাল কর্তৃপক্ষও আদিম’র ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে আমাকে আমন্ত্রণ জানালেন। কোন রকম প্রত্যাশা ছাড়াই নতুন দেশ দেখবার আশায় ফেস্টিভ্যালে উপস্থিত হই। ফেস্টিভাল কর্তৃপক্ষের আতিথেয়তা এবং আদিম নিয়ে দর্শকের আগ্রহে ভীষণ অভিভূত। তারমধ্যে এই পুরস্কার নিঃসন্দেহে বাড়তি যোগ।
ইতোমধ্যেই আনকাট সেন্সর ছাড়পত্র পেয়েছে ‘আদিম’। খুব শিগগিরই সিনেমাটি মুক্তির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিবেন নির্মাতা।
টঙ্গীর একটি বস্তিতে হয়েছে ‘আদিম’র শুটিং। সিনেমার কাহিনীও বস্তিকে কেন্দ্র করেই। এর চরিত্ররাও বস্তিতেই বাস করেন। গণঅর্থায়নে নির্মাতার নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রসায়ন’র ব্যানারে নির্মিত এবং সহ-প্রযোজক হিসেবে সিনেমাকার ও লোটাস ফিল্ম যুক্ত আছে বলেও জানান যুবরাজ।
ল্যাংড়া চরিত্রে বাদশা ছাড়াও আদিম এর বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন দুলাল, সোহাগী, সাদেক প্রমুখ। চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণে ছিলেন আমির হামযা। সাউন্ড ও কালার করেছেন সুজন মাহমুদ।