‘আওয়ামী লীগের আস্তানা- বাংলাদেশে হবে না’, ‘দফা এক, দাবি এক- লীগ নট কাম ব্যাক‘, ‘বাঁচতে হলে লড়তে হবে- এ লড়াইয়ে জিততে হবে’ ইত্যাদি প্লেকার্ড হাতে নিয়ে রোববার জাতীয় নাগরিক পার্টি ইউকে সাপোর্টার্স ফোরামের সদস্যদের স্লোগানে মুখরিত হয় লন্ডনের আলতাব আলী পার্ক। ভারতে পলাতক খুনী শেখ হাসিনা-সহ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী ও বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের বিচারের দাবিতে ছিল এই প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ।
জাতীয় নাগরিক কমিটি-এনসিপি’র ইন্টারন্যাশনাল ডায়াস্পোরা শাখার কেন্দ্রীয় সদস্য- আবু সলমান মুরাদের সভাপতিত্বে এবং এনসিপি ইউকে সাপোর্টার্স ফোরামের আহবায়ক জি এইচ রাসেলের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সমাবেশে সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এনসিপি ডায়াস্পোরা শাখার সদস্য যথাক্রমে আবু সলমান মুরাদ, পাবেল চৌধুরী ও শারমিন হ্যাপি। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মোহাম্মদ জামিল, দিপা মনি, হাসিব, পথিক চৌধুরী, আবু বকর নিহাজ, মোহাম্মদ মাহবুব হাসান কাওসার, সাব্বির চৌধুরী, মতিউর রহমান জনি প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জুলাই-আগস্টের গণহত্যাকারী, পিলখানা ও শাপলা চত্বরে হত্যাকারী, দুর্নীতির মাধ্যমে দেশের সম্পদ লুণ্ঠন ও বিদেশে পাচারকারী শেখ হাসিনা, তার সকল অপরাধের সহযোগী ও তাদের ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগকে অবিলম্বে নিষিদ্ধ করতে হবে।
বক্তারা আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের বর্বরতার করুণ চিত্র তুলে ধরে আরো বলেন, জুলাই-আগস্টের বর্বরতা বাংলাদেশের মানুষ কখনো ভুলবে না। শুধু দেশের মাটিতে নয়, বিশ্বের কোন দেশে আওয়ামী লীগের ঠাই হবে না। বিগত ১৬ বছরে তারা যত হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, সবকিছুর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তারা চুরি করে বিদেশে যে অর্থ পাচার করেছে তা অবশ্যই দেশকে ফেরত দিতে হবে।
সরকারকে জালিম আওয়ামী লীগের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, যারা ফ্যাসিস্ট আ.লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে সেইসব প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে কঠোর আইনের আওতায় আনতে হবে। জালিমরা বাংলাদেশে ফিরে এসে দেশটাকে ধ্বংস করুক সেটা আর বরদাশত করা হবেনা।
বক্তরা আরো বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের প্রতি যে জুলুম করেছে, গুম ও খুন করেছে, তারপর তাদের আর রাজনীতি করার অধিকার থাকতে পারে না। তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার প্রশ্নই ওঠে না। বরং অনতিবিলম্বে তাদের প্রত্যেকটা অন্যায়ের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।