দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট গ্রেপ্তার

আন্তর্জাতিক সাম্প্রতিক
শেয়ার করুন

দক্ষিণ কোরিয়ার ইমপিচড বা অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলকে অবশেষে গ্রেপ্তার করা হলো। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা রাজনৈতিক অচলাবস্থার পর ইউন সুক ইওল বুধবার জানান, তিনি আর রক্তপাত চান না। তিনি তদন্তের কাজে সহযোগিতা করবেন। তারপর তদন্তকারীরা তাকে গ্রেপ্তার করে।

গত ৩ ডিসেম্বর ইওল দক্ষিণ কোরিয়ায় স্বল্পস্থায়ী সামরিক আইন জারি করেন। ১৪ ডিসেম্বর পার্লামেন্টের সদস্যরা ইওলকে ইমপিচ করেন। তারপর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু তার দেহরক্ষীরা তদন্তকারী অফিসারদের আটকে দেন।

এই প্রথম দক্ষিণ কোরিয়ায় কোনো প্রেসিডেন্ট পদে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার হলেন। এর আগে শীর্ষ পদে থাকা সাবেক নেতাদের শাস্তি হয়েছে, তারা জেলেও গেছেন।

বুধবার ভোরে তিন হাজার পুলিশ কর্মী প্রেসিডেন্টের বাসভবনে যান। তারপর ইওল সিদ্ধান্ত নেন, তিনি তদন্তের কাজে সহযোগিতা করবেন।

তিনি একটি বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ”আমি যখন দেখলাম ওরা আগুন নেভানোর যন্ত্রপাতি দিয়ে নিরাপত্তা বলয় ভেঙে ফেলেছে, তখনই আমি ঠিক করি তদন্তের কাজে সহযোগিতা করব। তবে আমি এখনো মনে করি, এই তদন্ত বেআইনি। অযথা রক্তপাত বন্ধ করতে আমি এই ব্যবস্থা নিয়েছি।”

এখন কী হবে

ইউন সুক ইওলকে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থার অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা আগামী ৪৮ ঘণ্টা ধরে তাকে জেরা করবেন। তারপর তারা তাকে ছেড়ে দিতে পারেন অথবা আরো ২০ দিন আটক রাখার জন্য ওয়ারেন্ট চাইতে পারেন।

ইওলের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, তাকে গ্রেপ্তার করাটা বেআইনি কাজ এবং এর উদ্দেশ্য হলো জনসমক্ষে তাকে হেয় করা।

এক প্রত্যক্ষদর্শীকে উদ্ধৃত করে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, বুধবারও প্রেসিডেন্ট বাসভবনের সামনে ইওলের সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। ইওলকে গ্রেপ্তার করার পর কিছু সমর্থক কান্নায় ভেঙে পড়েন।

ইওলকে আগেই ইমপিচ করা হয়েছে। এখন একটি সাংবিধানিক কোর্ট ইমপিচমেন্টের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে এবং তারাই ঠিক করবে ইওলকে সরে যেতে হবে না কি তার ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করা হবে। রয়টার্স, এপি, ডিডাব্লিউ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *