অবশেষে টেসলা ও স্পেস এক্সের সিইও এবং বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ইলন মাস্কের প্রস্তাব মেনে নিলো টুইটার। চার হাজার ৪০০ কোটি ডলার দিয়ে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার কিনেছেন তিনি।
কয়েকদিন বোর্ড মিটিং করে অবশেষে ২৫ এপ্রিল, সোমবারই মাস্কের প্রস্তাব অনুমোদন করে টুইটার বোর্ড। মাস্কের অধীনে টুইটার এখন একটি প্রাইভেট কোম্পানি হবে।
টুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মাস্কের যে চুক্তি হয়েছে, তাতে বলা আছে, প্রতিটি শেয়ারপিছু ৫৪ দশমিক ২০ ডলার দেবেন মাস্ক। এই বছরের মধ্যেই তা বাস্তবায়ন হবে।
গত ১ এপ্রিল টুইটারের নয় শতাংশ শেয়ার কিনেছিলেন মাস্ক। তখন যা দাম ছিল, তার থেকে ৩৮ শতাংশ বেশি দাম দিচ্ছেন মাস্ক।
স্পেস এক্স ও টেসলার চিফ এক্সিকিউটিভ মাস্ক বলেছেন, ”স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের অধিকার হলো গণতন্ত্রের ভিত্তি। টুইটার হলো এমন এক জায়গা, যেখানে মানবিকতার ভবিষ্যৎ নিয়ে বিতর্ক হয়।”
তিনি আরও জানিয়েছেন, ”আমি টুইটারকে আরো ভালো করতে চাই। নতুন বিষয় যোগ করতে চাই। মানুষের আস্থা আরো বাড়াতে চাই।”
টুইটার প্রধান পরাগ আগরওয়াল টুইট করে বলেছেন, ”গোটা বিশ্বে টুইটারের একটা প্রাসঙ্গিকতা আছে, উদ্দেশ্য আছে, প্রভাব আছে। আমি আমার টিমের কাজে গর্বিত।”টুইটার ও মাস্কের প্রতিনিধিরা রোববার সারারাত কাজ করে এই হস্তান্তর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করেছেন।
কী প্রভাব পড়তে পারে?
ইলন মাস্কের দাবি, তিনি টুইটার কিনেছেন স্বাধীনভাবে মতপ্রকাশের স্থানকে আরো শক্তিশালী করতে। তার দাবি, টুইটার প্রাইভেট কোম্পানি হলে মানুষের আস্থা বাড়বে। তিনি কড়াকড়ি কম করার পক্ষে এবং মিথ্যা টুইট বন্ধ করার পক্ষে।
ইলন মাস্ক টুইটারের বিভিন্ন ধরনের নীতির সমালোচক। তিনি এ প্রতিষ্ঠানটিকে ‘নিরঙ্কুশ বাক স্বাধীনতার’ প্ল্যাটফর্ম হতে হবে বলে মন্তব্য করেছিলেন। টেসলার সিইও আগেই বলেছিলেন, বাকস্বাধীনতার জন্য প্রকৃত প্ল্যাটফর্ম হিসেবে গড়ে তুলতে এবং এর পরিসর বাড়াতে টুইটারকে ব্যক্তিগতভাবে কিনে নেওয়া দরকার।
টুইটারকে অধিগ্রহণ করার মাত্র চারদিন আগে একটি অর্থায়ন প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন ইলন মাস্ক। তাঁর ওই প্রস্তাবের পর টুইটারে নির্বাহী পর্ষদ এটি নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে চিন্তা-ভাবনা শুরু করে। টুইটারের অনেক অংশীদার চুক্তির সুযোগ হাতছাড়া না করার জন্য কোম্পানিটির প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল।
সূত্র: এপি, এএফপি, রয়টার্স