আল আকসা মসজিদকে ঘিরে সপ্তাহজুড়ে সহিংসতার পর মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) জেরুজালেমে সংঘর্ষ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে পাঁচটি ইউরোপীয় দেশ। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রুদ্ধদ্বার জরুরি বৈঠক শেষে এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানানো হয়।
বৈঠক ডাকা দেশগুলোর থাকা সত্ত্বেও সংযুক্ত আরব আমিরাত ও চীন যৌথ বিবৃতিতে অংশ নেয়নি।
আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, এস্তোনিয়া, নরওয়ে এবং আলবেনিয়ার এই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সহিংসতা অবিলম্বে বন্ধ করা দরকার। আরও বেসামরিক লোকদের হতাহতের ঘটনা রোধের বিষয় অগ্রাধিকার দিতে হবে।’ ‘পবিত্র স্থানগুলোর স্থিতাবস্থা অবশ্যই সম্পূর্ণভাবে সম্মান প্রদর্শন করতে হবে।’
জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ চত্বর ঘিরে এবং আশপাশে কয়েক দিনের সহিংসতার পর এই বৈঠক ডাকা হয়। এই এলাকা ইহুদিদের কাছে টেম্পল মাউন্ট নামে পরিচিত। সেখানে সপ্তাহান্তের সংঘর্ষে ১৭০ জন লোক আহত হয়েছে।
পাঁচটি ইউরোপীয় দেশ ‘সব ধরণের সন্ত্রাসী কার্যক্রম’ এবং গাজা থেকে সোমবার দক্ষিণ ইসরায়েলে রকেট নিক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছে। তিন মাসের মধ্যে প্রথম ইসরায়েলি বাহিনী মঙ্গলবার ফিলিস্তিন ছিটমহলে বিমান হামলা চালিয়েছে।
উল্লেখ্য, অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমে পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) স্থানীয় সময় ভোরে এ অভিযানের জেরে সৃষ্ট সহিংসতায় ১৫২ জন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে। এর কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ফিলিস্তিন।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্সির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি পুলিশের তাণ্ডব ‘একটি বিপজ্জনক অগ্রগতি এবং যুদ্ধের ঘোষণা’।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ফিলিস্তিনি জনগণ ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী এবং ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের পবিত্র স্থান দখল করতে দেবে না।’ এছাড়া বিবৃতিতে ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানানো হয়েছে।
ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরো প্রধান ইসমাইল হানিয়া বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণ যে কোনো মূল্যে আল-আকসা মসজিদকে রক্ষা করবে ও নিরাপদে রাখবে। তিনি আরও বলেছেন, জেরুজালেমে ‘অনুপ্রবেশকারীদের’ কোনো স্থান নেই।
হামলার পর এক বিবৃতিতে ইসলাম ধর্মের পবিত্র এই স্থাপনাটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কমিটি জানিয়েছে, শুক্রবার ভোর হওয়ার আগেই ইসরায়েলি পুলিশ জোর করে আল-আকসা মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে। সেসময় ফজর নামাজে অংশ নেওয়ার জন্য হাজার হাজার মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন।