সাঈদ চৌধুরী
খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ, লেখক, ভাষাসৈনিক ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ৮৮ বছর বয়সে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না-লিল্লা-হি ওয়া ইন্না- ইলাইহি রা-জিউ-ন। আজ শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা ৫০-এ (৩০ এপ্রিল) ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি ইহত্যাগ করেন। আবুল মাল আবদুল মুহিতের ছোট ভাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন । এর আগে ২০২১ সালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ) চিকিৎসা নিয়েছিলেন।
আজ রাত লাশ মরচুয়ারিতে রাখা হবে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশান আজাদ মসজিদে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে দুপুর সাড়ে ১১টায় সংসদ প্লাজায় দ্বিতীয় জানাজা এবং দুপুর ১২টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য তাঁর মরদেহ শহীদ মিনারে রাখা হবে। এরপর দাফনের জন্য নেয়া হবে জন্মমাটি সিলেটে।
আবুল মাল আবদুল মুহিতের ইন্তেকালের খবর প্রকাশের পর দেশ-বিদেশে অসংখ্য মানুষ তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করেছেন। স্মৃতিচারণ আর প্রার্থনায় সয়লাব সোশ্যাল মিডিয়া। অনেকেই লিখেছেন, ‘আমাদের প্রার্থনা আল্লাহর কাছে, আপনি জান্নাতবাসী হোন।‘
বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সাবেক সফল অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ১৯৩৪ সালের ২৫ জানুয়ারি বিকেল সাড়ে ৪টায় সিলেট শহরের ধোপাদীঘিরপার হাফিজ কমপ্লেক্সে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পাকিস্তান আন্দোলনের অন্যতম শীর্ষ নেতা, তৎকালীন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের প্রতিষ্ঠাতা এডভোকেট আবু আহমদ আব্দুল হাফিজের তৃতীয় সন্তান। তাঁর মা সৈয়দ শাহার বানু চৌধুরীও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ড সহ রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৪৮ সালে সিলেট সফররত পাকিস্তানের যোগাযোগ মন্ত্রী সরদার আবদুর রব নিশতারকে বাংলা রাষ্ট্রভাষা করার দাবী জানিয়ে স্মারকলিপি প্রদানে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি আমৃত্যু সিলেট মহিলা সমিতির সভানেত্রী ছিলেন। তাঁর দাদা খান বাহাদুর আব্দুর রহিম মহকুমা প্রশাসক (এসডিও) এবং আসাম সিভিল সার্ভিসের সিনিয়র কর্মকর্তা ছিলেন।
জনাব মুহিত ছাত্রজীবনে অত্যন্ত উজ্জ্বল মেধাবী ছিলেন। ১৯৫১ সালে তিনি সিলেট এমসি কলেজ থেকে তৎকালীন সারা প্রদেশে আইএ পরীক্ষায় প্রথম স্থান, ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে বিএ (অনার্স) পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম এবং ১৯৫৫ সালে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে এমএ পাস করেন। তিনি সলিমুল্লাহ হল ছাত্রসংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) ও সর্বদলীয় কর্মপরিষদের আহবায়ক ছিলেন। পরে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিএ ডিগ্রি লাভ করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মাল আবদুল মুহিত ভাষা সংগ্রামেও অংশ নিয়েছেন। ১৯৫২ সালে রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের সৈনিক হিসেবে বিশেষ নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হন। তারও আগে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার উদ্দেশ্যে সিলেট কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ ১৯৪৭ সালের ৯ নভেম্বর, ৩০ নভেম্বর এবং ২৮ ডিসেম্বর তিনটি সভার আয়োজন করেছিল। সবকটি সভাতেই তিনি সক্রিয়ভাবে উপস্থিত ছিলেন।
১৯৬৯ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে আইয়ুব খানের ডাকে অনুষ্ঠিত গোলটেবিল বৈঠকে বঙ্গবন্ধুসহ পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধিদের ব্রিফিংয়ের ব্যবস্থা এবং ডেপুটি সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে ওয়াশিংটন দূতাবাসে তিনিই প্রথম কূটনীতিক বাংলাদেশের পক্ষে অনুগত্য প্রকাশ করেন। তখন জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে তিনি সদস্য সচিব ছিলেন।
১৯৫৬ সালে পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে (সিএসপি) যোগদানের পর জনাব মুহিত তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার, পূর্ব পাকিস্তানের প্রাদেশিক সরকার এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৭২ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে তিনি পরিকল্পনা সচিব এবং ১৯৭৭ সালে অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বহিঃসম্পদ বিভাগে সচিব পদে নিযুক্ত হন।
জনাব মুহিত পাকিস্তান পরিকল্পনা কমিশনের চীফ ও উপসচিব থাকাকালে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে বৈষম্য বিরাজমান ছিল তার ওপর ১৯৬৬ সালে একটি প্রতিবেদন প্রণয়ন করেন। সংবিধানের বাধ্যবাধকতা পালনে পাকিস্তান ন্যাশনাল এ্যাসেম্বলিতে এটিই ছিল এবিষয়ে প্রথম প্রতিবেদন।
অর্থনৈতিক কূটনীতিতে জনাব মুহিত সবিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ইসলামী উন্নয়ন ব্যাংক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থায় তিনি একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব।
১৯৮১ সালে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে তিনি অর্থনীতি ও উন্নয়ন পরামর্শক হিসেবে ফোর্ড ফাউণ্ডেশন এবং ইফাদে কাজ শুরু করেন। তখন জাতিসংঘ সম্মেলনে স্বল্পন্নোত দেশের প্রথম কমিটির চেয়ারম্যান মনোনীত হন।
১৯৮২ সালের মার্চ মাস থেকে ১৯৮৩ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশের অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীকালে তিনি বিশ্বব্যাংক ও জাতিসংঘের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৮৩-৮৪ তে এসকাপের চেয়ারম্যান ছিলেন। ১৯৮৪ ও ১৯৮৫ সালে তিনি প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয়ে উড্রো উইলসন স্কুলে ভিজিটিং ফেলো ছিলেন।
জনাব মুহিত ২০০৮ সালে সিলেট-১ সংসদীয় আসনে এমপি নির্বাচিত হন। তিনি ৬ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালের নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত এ দায়িত্বে বহাল ছিলেন। বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রী হিসেবে জাতীয় সংসদে টানা ১০ বছর বাজেট উপস্থাপন করেছেন । মন্ত্রী হিসেবে তিনি সর্বাধিক সংখ্যক ১২টি বাজেট প্রণয়ন করেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের তিনি একজন পথিকৃৎ। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন এবং পূর্বসুরি ‘পরশ’ এর তিনি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন।
লেখক হিসেবেও জনাব মুহিত সমান পারদর্শী। উন্নয়ন এবং স্মৃতিচারণ মিলিয়ে নিজের লেখালেখিতে সদা সক্রিয় ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, ইতিহাস, জনপ্রশাসন এবং রাজনৈতিক সমস্যা সহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর ২৩টি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। ২০০০ সালে তাঁর লেখা ‘বাংলাদেশ জাতি রাষ্ট্রের উদ্ভব’ জাতীয় আরকাইভসের বিচারে সেরা গ্রন্থ হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে।
আবুল মাল আবদুল মুহিতের জীবন ও কর্মের আলোকময় দিক নিয়ে একটি স্মারক গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। বইটির নাম প্রজ্ঞাদীপ মুহিতমানস। এক অসাধারণ গ্রন্থ। ৭৩২ পৃষ্ঠার এই অনন্য প্রকাশনার ভূমিকা লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমেরিটাস আনিসুজ্জামান। বৃহদাকার এই বইটিতে আছে তার সম্পর্কে অনেকের গুরুত্বপূর্ণ অভিব্যক্তি। মূল্যবান এই বইটির প্রচ্ছদ এঁকেছেন তামিম বিন ইমদান।
গ্রন্থের ‘মুগ্ধতার বয়ান ও স্মৃতিপাঠ’ পর্বে মুহিত জীবনের আলোকময় ব্যক্তিগত দিক থেকে শুরু করে উঠে এসেছে তার সহপাঠী, সহকর্মী ও সমকালীন লেখকদের মুহিত-পর্যালোচনা। এ পর্বে লিখেছেন রফিকুল ইসলাম, ছদরুদ্দিন আহমদ চৌধুরী, জেবা রশীদ চৌধুরী, নাসিরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী, ফারুক চৌধুরী, নূরুল ইসলাম, মো. আবদুল আজিজ, বিজিত কুমার দে, কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, মনিরুজ্জামান, শামসুজ্জামান খান, রামেন্দু মজুমদার, আবদুল বায়েস, মফিদুল হক, স্বদেশ রায়, হারুন-অর-রশিদ, মুনতাসীর মামুন, শাহলা খাতুন, নূহ-উল-আলম লেনিন, এম. মোকাম্মেল হক, মো. সালেহ উদ্দিন, সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, সেলিনা হোসেন, এ.কে আবদুল মোমেন, মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী, গ ক ম আলমগীর, তবারক হোসেইন, মোহাম্মদ ফারুক আহমদ, আহমদ আল-কবির, আজিজ আহমদ সেলিম, আশফাক হোসেন, আহমদ সিরাজ, তাজুল মোহাম্মদ, সেলু বাসিত, মাসুদা ভাট্টি, মো. আবু তাহের, এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, আবুল কাশেম, ফাহিমা ইয়াসমিন, সর্ব্বানী অর্জ্জুন, সুজাত আলী রফিক, মুক্তাদীর আহমদ, অপূর্ব শর্মা।
গ্রন্থের দ্বিতীয় অধ্যায়ের শিরোনাম ‘বয়ন-অন্তর্বয়ন ও দৃষ্টিপাত’। এ অধ্যায়ে মূলত আলোকপাত করা হয়েছে মননশীল লেখক মুহিতের গ্রন্থপরিচয় ও লেখা সমূহের বিচার বিশ্লেষণ। এ পর্বে লিখেছেন সালেহ মাহমুদ রিয়াদ, রসময় মোহান্ত, নন্দলাল শর্মা, নৃপেন্দ্রলাল দাশ, মিহিরকান্তি চৌধুরী, গোলাম রব্বানী, এ কে শেরাম, শামসুল করিম কয়েস, নজমুল হক, তাপসী চক্রবর্তী, আসমা-উল-হোসনা, দীপংকর মোহান্ত, মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, শংকর চৌধুরী, হোসনে আরা কামালী, রজত কান্তি ভট্টাচার্য, জয়ারাণী আইন, প্রণবকান্তি দেব, আবুল ফতেহ ফাত্তাহ।
এ গ্রন্থের তৃতীয় অধ্যায়ে রয়েছে কবিতার পঙ্তিমালা ‘আলোকের পারাবত’। কবি দিলওয়ার, নির্মলেন্দু গুণ, নৃপেন্দ্রলাল দাশ, এ কে শেরাম, মাশুক ইবনে আনিস, শামস নূর, মোহাম্মদ হোসাইন, পুলিন রায়, আবিদ ফায়সাল প্রমুখ কবি মুহিতকে তুলে ধরেছেন কবিতার উপমা-উৎপ্রেক্ষায়।
গ্রন্থের চতুর্থ অধ্যায় বিন্যস্ত হয়েছে আবুল মাল আবদুল মুহিতের সাক্ষাৎবচন ‘জীবনের গান, প্রাণের ফোয়ারা’ অভিধায়। এ অধ্যায়ে বিভিন্ন সময়ে মুহিত প্রদত্ত চারটি সাক্ষাৎকার স্থান পায়। সাক্ষাৎবচন পর্বে আছে দেশ টিভি সাক্ষাৎকার : আসাদুজ্জামান নূর, কালের কণ্ঠ সাক্ষাৎকার : আহমেদ নূর, প্রথম আলো সাক্ষাৎকার : সোহরাব হাসান, শওকত হোসেন, ফখরুল ইসলাম, এবং অভিমত সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন মুক্তাদীর আহমদ। গ্রন্থের পরবর্তী অধ্যায়গুলোতে রয়েছে মুহিতের নির্বাচিত কিছু সময়োপোযোগী রচনা, সন্নিবেশিত হয়েছে তার বর্ণাঢ্য জীবন ও রচনাপঞ্জি, বিভিন্ন গ্রন্থে পত্রস্থ প্রবন্ধ-নিবন্ধ।
একজন বাঙালি মনীষার জীবন ও কর্মের অতলস্পর্শী দলিলটি সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ গবেষক ডক্টর আবুল ফতেহ ফাত্তাহ। গ্রন্থের প্রচ্ছদ একেছেন শিল্পী তামিম বিন ইমদাদ। গ্রন্থটি প্রকাশ করেছে প্রত্মপাঠ প্রকাশনী।
কবি ও ছড়াকার মাশুক ইবনে আনিসের আমন্ত্রণে লেখক ও প্রকাশক শামস নূরের প্যারাডাইম অফসেট প্রেসে গিয়ে এই অসাধারণ গ্রন্থটি পেলাম। একজন ব্যক্তির প্রজ্ঞার যে বহুমাত্রিক স্ফুরণ ঘটতে পারে এ গ্রন্থটি পাঠ না করলে বুঝা যাবে না। একজন অনন্য মনীষার জীবন ও কর্মের অতলস্পর্শী দলিল এটি।
সাহিত্য-সাংস্কৃতিক অঙ্গনে আবুল মাল আবদুল মুহিত স্বতন্ত্র মহিমায় প্রদীপ্ত আলোকশিখা হিসেবে ভাস্কর হয়ে আছেন। তিনি গতানুগতিক ধারার রাজনীতিক নন। একজন ব্যতিক্রমী মানুষ। অন্যান্য রাজনীতিকদের সঙ্গে তাঁর তুলনা হয়না। রাজনীতিক না বলে তাঁকে বুদ্ধিজীবী বলা ভালো।
পারিবারিক জীবনে জনাব মুহিত একজন রসঘন সংসারী পুরুষ। স্ত্রী সৈয়দ সাবিয়া মুহিত বিশিষ্ট ডিজাইনার। তাদের তিন সন্তানের মধ্যে প্রথম কন্যা সামিনা মুহিত একজন ব্যাংকার এবং মুদ্রানীতি ও আর্থিক খাতের বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিউইয়র্কে রয়েছেন। জ্যেষ্ঠপুত্র সাহেদ মুহিত স্থপতি ও তথ্যপ্রযুক্তিবিদ হিসেবে ঢাকায় কর্মরত। কনিষ্ঠ পুত্র সামির মুহিত টেক্সাসের হিউস্টনে শিক্ষকতা করছেন।
মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করেন।