গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রেখে ইউরোপীয়দের পাশে থাকার বিষয়ে আশ্বাস দিলেন কাতারের জ্বালানী মন্ত্রী সাদ আল-কাবি। বৃহস্পতিবার সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।
জ্বালানী মন্ত্রী জানান, ইউরোপের সঙ্গে কাতারের যে চুক্তি রয়েছে তা ‘পরিবর্তনযোগ্য’। অর্থাৎ, কাতার চাইলেই এই গ্যাস লাভজনক বিক্রেতার কাছে সরবরাহ করতে পারে। তবে সেটি কাতার করবে না বলে আশ্বস্ত করেন আল-কাবি। তিনি বলেন, আমরা কোনো গ্যাস ডাইভার্ট করছি না এবং ইউরোপেই সরবরাহ অব্যাহত রাখছি। যদিও আমাদের জন্য ডাইভার্ট করা লাভজনক কিন্তু আমরা তা করবো না। এটাই ইউরোপের সঙ্গে আমাদের সংহতির প্রকাশ।
এক সাক্ষাৎকারে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় রাশিয়ার তেল ও গ্যাসের উপরে কাতার কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে কিনা।
আল-কাবি এমন সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দেন। বলেন, জ্বালানী খাতকে অবশ্যই রাজনীতির বাইরে রাখা উচিৎ। তাছাড়া ইউরোপ পুরোপুরি রাশিয়ার গ্যাস নিষিদ্ধ করতে পারবে বলেও বিশ্বাস করেন না তিনি। ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধে তার দেশ কোনো পক্ষকেই সমর্থন দেবে না বলেও জানান কাতারের জ্বালানী মন্ত্রী।
এদিকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) গ্যাস সরবরাহ অব্যাহত রাখবে কাতার। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি প্রতিষ্ঠান কাতার পেট্রোলিয়ামের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।
কাতার পেট্রোলিয়ামের সিইও সাদ শেরিদা আল-কাবি বলেন, ইউএইতে দৈনিক ২০০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করা হয়। বর্তমানে আমরা নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছি। এ অবস্থায় চাইলে আমরা ইউএইতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিতে পারি। কিন্তু আমাদের এ ধরনের সিদ্ধান্ত ইউএই ও তাদের সাধারণ মানুষের জন্য বিপুল ক্ষতির কারণ হবে। ইউএইর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভ্রাতৃসম; তাই আমরা এ ধরনের উদ্যোগ নিতে পারি না।
বিশ্লেষকদের মতে, ডলফিন নামে গ্যাস সরবরাহকারী ৩৬৪ কিলোমিটারের পাইপলাইনটি বন্ধ করা হলে ইউএইর জ্বালানি চাহিদা পূরণে বড় প্রতিবন্ধকতার মুখে পড়তে হবে। কাতারের জায়ান্ট নর্থ ফিল্ডের সঙ্গে ইউএই ও ওমানকে সংযুক্ত করে এর মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ করা হয়।