রোহিঙ্গারা আর এ দেশে থাকতে চান না। তাইতো নিজ দেশ মিয়ানমারে তাদেরকে ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে ‘গো হোম ক্যাম্পেইন’ ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে রোহিঙ্গারা। ১৯ জুন, রোববার কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি ক্যাম্পের নির্ধারিত স্থানে সকাল ৮ টা থেকে বর্ষণমুখর অবস্থায় মানববন্ধন ও মিছিল শেষে সমাবেশ শুরু করে তারা। এতে ক্যাম্পের সব রোহিঙ্গা অংশ নেন।
‘ব্যাক টু হোম’ স্লোগানে এই বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্যদিয়ে নানা বয়সের রোহিঙ্গারা নিজের দেশ মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়কে অনুরোধ জানান রোহিঙ্গারা। আগামীকাল ২০ জুন, সোমবার ‘বিশ্ব শরণার্থী দিবস’ এর একদিন আগে আজ সকালে লাখো রোহিঙ্গা তাদের বস্তির বাইরে এসে ‘গো হোম’ কর্মসূচিতে অংশ নেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে ‘চলো চলো আরাকান চলো’ শ্লোগানে প্রকম্পিত হয়ে উঠে কক্সবাজারের সীমান্তবর্তী রোহিঙ্গা শিবিরগুলো। তারা স্বেচ্ছায় নিজ দেশ মিয়ানমারের আরাকান (রাখাইন) রাজ্যে ফিরতে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করেন। ব্যানারে লেখা ছিলো- We are the citizen of Myanmar. Myanmar is our Motherland. Please UN, Help us to go back to our Motherland. Please world community, help us to save our rights in Myanmar.
রোহিঙ্গাদের ‘গো হোম’ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া লাখো নারী-পুরুষের মুখে একটি আওয়াজ ছিল- এবারের বিশ্ব শরণার্থী দিবসেই আমাদের শরণার্থী জীবনের অবসান হওয়া চাই। রোহিঙ্গারা এ আয়োজনে নানা প্ল্যাকার্ড বহন করেছেন বিশ্ব বিবেকের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। তাতে তারা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘উই ওয়ান্ট রাইটস’, ‘উই ওয়ান্ট টু গো ব্যাক টু আওয়ার মাদারল্যান্ড’সহ আরো অনেক দাবি তুলেছেন।এ বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সাধারণ রোহিঙ্গারাই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে দলে দলে। প্রবল বর্ষণ উপেক্ষা করেই রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যে ফিরতে ব্যাকুলতার কথা জানাতে তারা শিবিরের বাইরে এসে সমবেত হন।
দীর্ঘদিন ধরেই নিজ দেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের বাধা দিয়ে আসছে রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী বাহিনী। এ কারণে শিবিরগুলো দেশে ফিরতে ইচ্ছুক এবং ফিরতে বাধাদানকারী- এ দুই বিবাদমান গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
এই বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে, রোহিঙ্গাদের নিয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা এবং রোহিঙ্গাদের দীর্ঘমেয়াদে এখানে রেখে আঁখের গোছানোর নেপথ্যে কাজ করছে আন্তর্জাতিক কিছু সংস্থার কর্মী। সেইসঙ্গে দেশি-বিদেশি এনজিওকর্মীদের বিরুদ্ধেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন খোদ সাধারণ রোহিঙ্গারাই।
‘গো হোম’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী রোহিঙ্গাদের অনেকেই বলেছেন, দেশি-বিদেশি ইন্ধন না থাকলে অনেক আগেই আশ্রিত রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার কর্মসূচি বাস্তবায়িত হতো।
দেশে ফিরে যেতে ইচ্ছুক রোহিঙ্গারা বলেন, স্বদেশে ফিরতে বাধাদানকারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের প্রচণ্ড চাপ উপেক্ষা করেই আমরা আজকের ‘গো হোম’ কর্মসূচির আয়োজন করেছি। আমরা সন্ত্রাসীদের অস্ত্রকে আর ভয় পাই না। আমরা ফিরতে চাই শত বছরের আমাদের বাপ-দাদার ঐতিহ্যবাহি বাড়িভিটায়। আর আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে আমাদের দাবির কথা জানিয়েছি।
আরও পড়ুন
কোথাও আগুন লাগলে সতর্কতার জন্য যা করবেন, যা করবেন না
আগুনে পুড়লে মৃত ব্যক্তির মর্যাদা ও আগুন লাগলে যে দোয়া পড়বেন
দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কিপক্স; প্রয়োজন সতর্কতা
দেহকে সুস্থ রাখবে অ্যালোভেরা
বসন্তের বাতাসে অ্যালার্জির প্রবণতা, একটু গাফিলতি হলেই মারাত্মক বিপদ
রাসূল সা: প্রবর্তিত খাদ্যবিজ্ঞান । ডা: মো: তৌহিদ হোসাইন
তরমুজের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
যে খাবারে শিশুর উচ্চতা বাড়ে
ইন্ডাস্ট্রির সকলের স্বার্থে কপিরাইটের প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছিঃ ফাহিম ফয়সাল
অতিরিক্ত আবেগ মনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে
আক্ষেপ প্রকাশ করলেন ‘ছুটির ঘণ্টা’র নির্মাতার মেয়ে বিন্দি
ওজন কমাতে সাহায্য করে যে সকল খাবার