গাজা উপত্যকায় জোরালো হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অন্তত ৩৩০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার খবর জানিয়েছে। গাজার উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং হামাসের শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা মাহমুদ আবু ওয়াফাহ একটি হামলায় নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
গত ১৯ জানুয়ারি যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর গাজায় এটিই সবচেয়ে বড় বিমান হামলা। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, পবিত্র রমজান মাস হওয়ায় অনেক লোক সেহরি খাচ্ছিলেন, তথনই গাজায় বিস্ফোরণ শুরু হয়।
২০টিরও বেশি ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান গাজা সিটি, রাফাহ ও খান ইউনিসের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে শুরু করে বলে তারা জানিয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ মঙ্গলবার সকালে হামলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
গাজায় হামলার পরিকল্পনা “আইডিএফ গত সপ্তাহের শেষে উপস্থাপন করেছিল এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব তা অনুমোদন করেছিল” বলেও জানানো হয় বিবৃতিতে।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাতিলের জন্য ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘বিশ্বাসঘাতকতার’ অভিযোগ এনে হামাস ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা বলেছে, ইসরায়েল গাজায় বন্দি অবশিষ্ট ইসরায়েলি জিম্মিদের “একটি অজানা ভাগ্যের” দিকে ঠেলে দিলো।
তবে হামাস এখনও ঘোষণা করেনি যে তারা যুদ্ধ পুনরায় শুরু করছে, পরিবর্তে মধ্যস্থতাকারীদের এবং জাতিসংঘকে হস্তক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে।
হোয়াইট হাউসের একজন মুখপাত্র ফক্স নিউজকে বলেছেন, হামলা চালানোর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সঙ্গে ইসরায়েল পরামর্শ করেছিল।
গত পহেলা মার্চ গাজায় অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শেষ হয়। এরপর আলোচনাকারীরা এই যুদ্ধবিরতি এগিয়ে নেওয়ার পথ খোঁজার চেষ্টা করেন।
দুই দিন আগে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দোহায় আলোচনা শুরু হয় যা ৭২ ঘণ্টা স্থায়ী হয়েছিল। এতে মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা যুদ্ধবিরতির প্রথম পর্যায়ে বাড়ানোর আলোচনা শুরু করেন বা যুদ্ধিবিরতি দ্বিতীয় পর্যায়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন যা কার্যত ব্যর্থ হয়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রথম পর্যায়টি এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল, যার মধ্যে হামাসের হাতে বন্দি জিম্মি এবং ইসরায়েলের হাতে বন্দি ফিলিস্তিনিদের বিনিময়ও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
তবে আলোচনার যুক্ত একজন ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেছেন, পরোক্ষ আলোচনায় উইটকফের ঠিক করে দেওয়া চুক্তির মূল বিষয়গুলো নিয়ে ইসরাইল ও হামাস একমত নয়। বিবিসি