রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার শরীরে অস্ত্রোপচার করেছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। ফুসফুসে পানি জমা ও রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোরটোসিসটেমিক সান্ট (টিপস) পদ্ধতিতে তারা সফলভাবে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন করেছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় বেগম জিয়াকে অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) নেয়া হয়। সেখানে যকৃতের ধমনিতে সফলভাবে অস্ত্রোপচার শেষে তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
বেগম জিয়ার লিভার সিরোসিস জটিলতার কারণে পেটে পানি জমা ও রক্তক্ষরণ বন্ধে ট্রান্সজুগলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোরটোসিস্টেমিক সান্ট (টিপস) পদ্ধতি শুরু করার জন্য মেডিকেল বোর্ড আগেই সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের চিকিৎসকরা এই ‘টিপস’ পদ্ধতিতে কোনো রোগীকে আগে চিকিৎসা দেননি। তাই যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় জনস হপকিন্সের তিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আনা হয় পরিবারের পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রফেসর হামিদ রব জনস হপকিন্সের কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট প্রোগ্রামের পরিচালক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। আর সহযোগী অধ্যাপক জেমস পিটার হ্যামিলটন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের হেপাটোলোজি বিভাগের পরিচালক ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। ডা. ক্রিসটোস স্যাভাস জর্জিয়াডেস ইন্টারভেনশনাল অনকোলজি বিভাগের পরিচালক ও রেডিওলোজি অ্যান্ড রেডিওলোজিক্যাল বিশেষজ্ঞ। অস্ত্রোপচারের সময় আরো ছিলেন ডা. এফ এম সিদ্দিকী, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডা. নুরুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।